সানজীদা আক্তার : বৃহস্পতিবার রাতে সময়টিভির সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই পূজা এবং ভোটের কাজ হয় সুতরাং নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতো বলে আমার মনে হয় না ।
ঢাকা সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি হবে সেদিন স্বরসতী পূজা।এ কারনে নির্বাচনে তারিখটি পরিবর্তনের দাবীতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবী জানানো হচ্ছে।গত তিন দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। আজকে তারা আমরণ অনশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও তাদের সাথে অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামি লীগের একজন প্রার্থীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা যায় কিনা।
রুমিন বলেন ,আমি আশ্চর্য্য হচ্ছি যে বাংলাদেশের মতো অসম্প্রদায়িক ও অনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে স্বরসতী পূজার দিন কি করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।যখন নির্বাচনের বিষয় নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়েছে তখনই কিন্তু তারা চাইলে ভোটের দিন পিছিয়ে কিংবা এগিয়ে দিতে পারতেন।কিন্তু সেটি তো হলোইনা বরং এটা আদালত পর্যন্ত্য গড়ালো এবং আরো দু:খ জনক বিষয় হলো আদালতে প্রথম রিটটি নেওয়াই হয়নি গ্রহণ করাই হয়নি।পরবর্তিতে যে আবেদন করা হয়েছে সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজকে আমি দেখলাম হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান । ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানাদাস গুপ্ত উনি বলেছেন উনি উচ্চ আদালতে যাবেন এবং এটা আমার কাছে যৌক্তিক বলেই মনে করছেন ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা।
তিনি অরো বলেন , নির্বাচন কমিশনারের যদি এই সাধারন বোধটুকুও না থেকে থাকে তাহলে আদালতের তরফ থেকে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনে আনা উচিত বলে অমি মনে করি।এবং স্বরসতী পূজার যে বিষটি উঠে এসেছে ,যে ২৯ তারিখপূজার কাজ শুরু হয়ে ৩০ তারিখ সকাল ১১টা পর্যন্ত্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মূলত স্বরসতী পূজা হয়ে থাকে। একদিকে চলবে ভোট অন্যদিকে পূজার উৎসব এটা তো হতে পারে না এবং অমি মনে করি যে এটা বিশেষ ধর্ম বা বিশেষ কোনো গোষ্ঠির দাবী হওয়া উচিত নয়। এটা পুরো সাধারণ দেশের মানুষের দাবী হওয়া উচিত ।
আজকে যে নির্বাচন পূজার দিন নির্ধারন করা হয়েছে কাল যে সেটা বড়দিন বা ঈদের দিনেও করবে না তা বলা যায় না।কারন অন্যান্য উৎসবের মতো ধর্মীয় উৎসবগুলো আমরা অনন্দের সাথে পালন করি। সম্পদনায় : সিরাজুল ইসলাম