শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:১৯ সকাল
আপডেট : ১৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বড় দুই দলে পথের কাঁটা বিদ্রোহীরা !

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোট। এর মধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বড় দুই দলের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারের উত্তাপ নগরীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে’ অবস্থা। শুধু তাই নয়।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও একটি বিষয় পরিষ্কার যে, বিজয়ী হতে হলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সঙ্গেই শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, নিজ দলেও অন্যরকম লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে দলের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীদের। কারণ, দুই দলেই কাউন্সিলর পদে দলের সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় অনেক নেতা, দলীয় ভাষায় যাদের বলা হয় ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’। সূত্র : আমাদেরসময়

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের জয়ের পথে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীই কাঁটা হয়ে দাঁড়াবেন। তাদের কারণেই ভোটব্যাংকের ভোটও ভাগ হয়ে যাবে। অর্থাৎ দলের প্রতি অনুগত বা দলকে সমর্থন দেবেন যে সব ভোটার, তাদের ভোটও ভাগ হয়ে যাবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি মিলিয়ে কাউন্সিলর পদে ৭১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শতাধিক এবং ১৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির প্রায় অর্ধশত বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়। আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে ৬৭ জন এবং উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টিতে ৩৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো মাঠে সক্রিয়। গতকাল পর্যন্ত সবাই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে গেছেন। অন্যদিকে বিএনপির তালিকা অনুযায়ী দুই সিটির ১৯ ওয়ার্ডে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ৩৪ জন।

নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীদের ব্যাপারে কঠোর হলেও বিএনপি সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল কঠোর হলেও এ পর্যন্ত অবশ্য বিদ্রোহী কাউকে বহিষ্কার করেনি। অন্যদিকে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তরা আজ শুক্রবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শনিবার উত্তরের বিদ্রোহীদের নিয়েও বৈঠক রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই সিটিতে বেশ কয়েকজন বিদ্রোহীকে সমঝোতার মাধ্যমে ভোটের মাঠ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী সরে যাবেন বলে মনে করছেন দলটির সংশ্লিষ্ট নেতারা। আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগও কম দলটির। তাদের মূল পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে মেয়রপ্রার্থীকে ঘিরে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই এ নিয়ে দলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগও রয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আমাদের সময়কে বলেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে দলগতভাবে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছি। তারাই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। যারা বিদ্রোহী হিসাবে নির্বাচন করছে তাদের বিষয়ে দল এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়