সাইফুর রহমান : বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে চীনা নেতারা বলছেন 'উইন-উইন'। আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, এই চুক্তি মার্কিন অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে। চুক্তির ফলাফল যাই হোক, চুক্তির আগের বাণিজ্য সংঘাত চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক এমনকি বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতিতেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিবিসি
দু’বছরের বাণিজ্যযুদ্ধে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাসহ আরও বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এলেও পাশাপাশি ব্যাপকহারে নেতিবাচক প্রভাব রেখে গেছে। প্রথমত এই ঘাটতি কমাতে গিয়ে দু’দেশের বাণিজ্য কমেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলারের। পাশাপাশি চীনে মার্কিন কৃষিপণ্য রপ্তানি আড়াই হাজার কোটি ডলার থেকে কমে ৭শ কোটি ডলারে নেমেছে। যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মার্কিন কৃষকরা।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে হ্রাস পেয়েছে চীনা বিনিয়োগ। ২০১৬ সালের ৫ হাজার ৪শ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯শ ৭ কোটি ডলারে এবং ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে তা নেমে আসে মাত্র আড়াইশ কোটি ডলারে। এছাড়াও দু’দেশের পাল্টাপাল্টি হুমকিতে অনেক ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারাও পিছিয়ে এসেছেন।
অন্যদিকে এই বাণিজ্য যুদ্ধ চীন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতেও বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আশংকা তাদের প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে তিন শতাংশ কম হবে। আবার এদিকে চীনের প্রবৃদ্ধিতেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :