রাশিদ রিয়াজ : ২] দূষণ ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে কাজ, সয়াযুক্ত খাবার, নারীর অধিক সামাজিক ব্যস্ততা, স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপে অধিক ব্যস্ত থাকা, পানিতে জেনোস্টেরনের অত্যাধিক উপস্থিতি, পর্নোগ্রাফি আসক্তি, শ্রমজীবীদের মধ্যে কায়িক পরিশ্রম হ্রাসের কারণে মার্কিন পুরুষদের এধরনের সমস্যা হচ্ছে। জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিন এধরনের জরিপ ফলাফল প্রকাশ করে বলছে গত দুই দশকে মার্কিন পুরুষদের টেস্টোস্টেরন এক চতুর্থাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। ১৫ থেকে ৩৯ বছরের ৪ হাজার ৪৫ জন পুরুষের টেস্টোস্টেরনের পরিমান পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে।
৩] পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমানের ওপর শুধু প্রজনন ক্ষমতাই নির্ভর করে না একই সাথে তা কণ্ঠস্বর বলীষ্ঠ, পেশী ও হাড়ের বৃদ্ধি, চুল গজানোর ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখে এবং এর অভাবে পুরুষদের বোকা স্বভাবের ও ম্রিয়মান বলে মনে হয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে হ্রাস পেলেও মার্কিন পুরুষদের যৌবনে এর বড় ধরনের ঘাটতি আগামী দিনে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।