নিউজ ডেস্ক : পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করেছে ১৩২০ মেগাওয়াট। আগামী মাসে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। সময় টিভি
ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা কয়লা জাহাজ খালাসের পর তা প্লান্টে নিয়ে পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে। পানিকে স্টিম করা, আর সেই স্টিমকে সবেগে টারবাইনের মাধ্যমে পাঠিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
৪শ কেভি সঞ্চালন লাইন দিয়ে ১শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে যুক্ত হয়েছে। একে প্রকল্পের একটি বড় ধরনের মাইলফলক বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে পায়রার ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কমিশনিং অংশ হিসাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিসিপিসিএলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পিনজুর রহমান বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দের একটা বড় মাইলফলক হিসেবে বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিসিপিসিএলের সহকারী প্রকৌশলী সেলিম আহমেদ বলেন, সফলভাবে আমরা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় আমরা সবাই গর্বিত।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ৬শ ৬০ মেগাওয়াট আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের আরো ৬শ ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিসিপিসিএলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারেক নুর বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কিছু ছোটখাট টেস্ট বা পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে সেগুলো শেষ করা হবে।
২০১৬ সালের ২৯ মার্চ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রায় ১২ হাজার ২’শ ৮৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণ দিচ্ছে চীন। অনুলিখন : জেবা আফরোজ