নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে বছরে মাত্র ১০ হাজার টন মধু উৎপাদন হচ্ছে। সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগানো বছরে আরও ৪-৫ লাখ টন মধু উৎপাদন সম্ভব। তবে মৌচাষিরা নায্যমূল্য না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আগ্রহী নন চাষিরা। সময়টিভি
দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবের অভাবে বাড়ছে না মধু রপ্তানি। কোনো কাজে আসছে না বছরে ৪-৫ লাখ টন মধু উৎপাদনের সক্ষমতা । ফলে দেশে মধুর বাজারের ৬০ শতাংশই দখলে রেখেছে ভারত। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ল্যাব না থাকায় মধুর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিদেশি ক্রেতারা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, চাপ দিয়েও দেশের ল্যাবগুলোকে অ্যাক্রিডেটেড করানো যাচ্ছে না।
কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, মৌমাছির পরাগায়নে ফসলের ফলন বাড়ে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
সরকারি হিসাব, দেশে বছরে সাড়ে ৬ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। যার মাত্র ১০ শতাংশ জমি থেকে মধু আহরণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন । দেশে ২০ হাজার মৌচাষি থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন করেন মাত্র আড়াই হাজার চাষি।
সম্প্রতি ডেনমার্ক থেকে মধু প্রক্রিয়াজাতকারী অত্যাধুনিক মেশিন এনেছে বিসিক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে প্রক্রিয়াজাত প্রতিকেজি মধু রপ্তানিতে বাড়তি মূল্য সংযোজন হবে ২০০ টাকা।
ইপিবি'র তথ্য ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া'সহ বেশ কয়েকটি দেশে স্বল্প পরিমাণে মধু রপ্তানি হচ্ছে। যার বেশিরভাগই কাঁচা মধু। আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
সংস্থাটির পণ্য বিভাগের পরিচালক আবদুর রউফ বলেন, যাদের দরকারি মেশিনারিজ রয়েছে তাদের আমরা অ্যাক্রিডেটেড হতে প্রেশারাইজ করেছি। এমনটা হলে আর রপ্তানিতে ঝামেলা থাকবে না। সম্পাদনা: সানজীদা আক্তার