সাদিয়া নাসরিন : এখন আমারে বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন বা তার ভাষায় ‘পাগলী’ নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করা বা রেপ করা আর সম্পূর্ণ সুস্থ জোয়ান একটা মেয়েকে অজ্ঞান করে, পাঁজাকোলা করে ঝোপ পর্যন্ত টেনে নিয়ে, তিনঘণ্টা আটকিয়ে রেখে, মাঝে ড্রেস পাল্টাইতে বাধ্য করে ‘উপর্যুপরি ধর্ষণ’ করা, বারবার নাম পরিচয় জানতে চাওয়া বা যোগাযোগ স্থাপন চেষ্টা করা একই রকম শারীরিক মানসিক সামর্থ্যরে ব্যাপার কিনা? শোনেন, এসব মজনুরা এমনিতেই যে পরিমাণ অপরাধ করছে বা করে তার জন্য আগাগোড়া জীবন শাস্তি দিলেও যথেষ্ট হয় না। কিন্তু তাদের হুদাই রাখালের বাঘ বানিয়ে তাদের সত্যিকার অপরাধগুলাকেও মিথ্যা করে দেন এই আপনারাই। বুঝছেন ব্যাপারটা? বোঝেন?প্রসঙ্গত, ‘ধর্ষক কেমন ছিলো দেখতে তা বলতে পেরেছে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছিলো সিরিয়াল কিলার। ঠা-া মাথায় যে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটিয়েছে একাধিকবার এবং মেয়েটিকে জোর করে পোশাকও পরিবর্তন করিয়েছে, আবার ধর্ষণ করেছে। ভিকটিম জানিয়েছে, ধর্ষক তার পরিচয় জানতে চেয়েছে বারবার। মেয়েটি আন্দাজ করছিলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই সে মুখ খোলেনি। তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন। লিংক কমেন্টে।