শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারাফটকে আটকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ! তদন্তের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে আলমগীর হোসেন (৪৩) নামে এক আসামিকে কারা ফটক থেকে আটক করে ইয়াবার মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ৩ মাসের মধ্যে দু’বার একই ঘটনা ঘটার পর এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ভুক্তভোগী আসামির পরিবারের সদস্যরা। ইত্তেফাক

আসামির স্বজন ও আইনজীবী বলছেন, জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার সময়ই তাকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়ার দাবি করে পুলিশ। সেক্ষেত্রে প্রতিবারই কি তিনি কারাগার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে বের হচ্ছেন? বিষয়টি নিশ্চিত হতে আদালত কারা ফটকের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান বলেন, আলমগীর হোসেন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি করতে গিয়ে মানুষ হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে। তার স্ত্রীও একজন মাদক ব্যবসায়ী। এর আগে আলমগীরের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলমগীর লক্ষ্মীপুরে ইয়াবার ব্যবসা করেন। সম্প্রতি আলমগীরকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তাররের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা ফটক থেকে তাকে আটকের তথ্য সঠিক নয়। বর্তমানে আলমগীর ইয়াবা মামলায় লক্ষ্মীপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সাজু বেগম বলেন, গত বছরের ১৪ জুলাই লক্ষ্মীপুর থানার এসআই মোর্শেদ তার স্বামীকে থানায় ডেকে নেন। সেখান থেকে রায়পুর থানার এসআই আরেফিন তাকে নিয়ে যান। এরপর ১৬ জুলাই ডাকাতি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ঐ মামলায় জামিন পেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগার থেকে বের হন আলমগীর। এ সময় কারা ফটক থেকেই তাকে আটক করে সাদা পোশাকের পুলিশ। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কেজিএন অটোমেটিক রাইস মিলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। তখন তার কাছে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় ২৪ নভেম্বর তার জামিন মঞ্জুর করে আদালত। ২ ডিসেম্বর তিনি কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় আবারও তাকে আটক করে পুলিশ। তবে কাগজপত্রে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই আবদুল আলীম এজাহারে উল্লেখ করেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাজারসংলগ্ন এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে আলমগীরকে ১৫৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

সাজু বেগম আরো জানান, লক্ষ্মীপুর সদরের মুসলিমপাড়ার শাকচর এলাকায় দোচালা ঘরে তারা থাকেন। তারা অত্যন্ত দরিদ্র। আলমগীর অটোরিকশা চালিয়ে এবং ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালান। ইয়াবার ব্যবসা তো দূরের কথা, কোনো দিন চোখেও দেখেননি তারা। তার স্বামী যদি ইয়াবার ব্যবসাই করতেন, তাহলে তাদের আর্থিক অবস্থা এতো খারাপ হতো না। তবে ডাকাতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরাও দিচ্ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল পাটোয়ারী বলেন, আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরপরই কারা ফটক থেকে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনা তার স্ত্রীসহ উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি দেখেছেন। অপরাধসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা যেতেই পারে। কিন্তু কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই ধরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনা দুঃখজনক। এ কারণে কারা ফটকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়। আদালত শুনানি শেষে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাকে ফুটেজ সংগ্রহ করার আদেশ দিয়েছেন। অনুলিখন : হ্যাপি আক্তার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়