শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০২:৩৪ রাত
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০২:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষতি কমাতে কর্মী ছাঁটাই করবে না টাটা মোটরস

রাশিদ রিয়াজ : সংস্থার মুনাফা বজায় রাখতে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি এবং উৎপাদনের উপরেও জোর দিচ্ছে টাটা মোটরস। সংস্থার মোট বিক্রির একটা বড় অংশ বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি থেকে আসে। বর্তমান মন্দার বাজারে বাণিজ্যিক গাড়িই তাদের লড়াইয়ে টিকে থাকতে সাহায্য করবে, জানিয়েছেন বুশেক। ভারতের ঘরোয়া বাজারে গাড়ির বিক্রি কমলেও কর্মীছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে না টাটা মোটরস। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক নতুন মডেলের গাড়ি আনতে চলেছে সংস্থাটি। তার উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে টাটা মোটরস। রোববার এ কথা জানিয়েছেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার গুন্টার বুশেক।

যাত্রিবাহী ও বাণিজ্যিক গাড়ি বিভাগ মিলিয়ে টাটা মোটরসে মোট ৮৩ হাজার কর্মী রয়েছেন। এ দিন বুশেক বলেন, 'আমাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই। যদি এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করার হতো, তা হলে অনেক আগেই সংস্থা সেই পথে হাঁটত। এক বছর ধরে সংস্থা মন্দাজনিত সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছে, কাজেই কর্মী সংখ্যা কমানোর হলে আগেই তা করে ফেলতাম।'

শীঘ্রই ভারতের বাজারে একগুচ্ছ নতুন মডেলের গাড়ি আনতে চলেছে টাটা মোটরস। এর মধ্যে অল্ট্রোজ, বিদ্যুৎ চালিত নেক্সন এবং গ্র্যাভিটাস এসইউভি রয়েছে। তাছাড়া, বিএস-ফোর মান থেকে বিএস-সিক্স মানে উন্নীত করার কাজও চলছে, বুশেক জানান। তাঁর কথায়, 'অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা সার্বিক গাড়ি বাজারের তুলনায় ভালো ফল করার মতো অবস্থায় রয়েছি। এ বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের নতুন মডেলের গাড়ি তৈরিতে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে। আমাদের ন্যূনতম মুনাফার পরিমাণ যে কোনও সময় দেশের আর পাঁচটা গাড়ি সংস্থার তুলনায় ভালো। কাজেই দেশের বাজার নিয়ে আমি আশাবাদী।'

সংস্থার মুনাফা বজায় রাখতে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি এবং উৎপাদনের উপরেও জোর দিচ্ছে টাটা মোটরস। সংস্থার মোট বিক্রির একটা বড় অংশ বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি থেকে আসে। বর্তমান মন্দার বাজারে বাণিজ্যিক গাড়িই তাদের লড়াইয়ে টিকে থাকতে সাহায্য করবে, জানিয়েছেন বুশেক।

এ প্রসঙ্গে বুশেক বলেন, 'আমাদের কাছে সঠিক পণ্য রয়েছে, ডিলার সংস্থাগুলির বিক্রিও ভালো। কাজেই স্রোতের প্রতিকূলে গিয়ে আমরা ভালো ফল করতে পারব। কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনও প্রয়োজন নেই। আমি চাই চাহিদা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনকে উপযুক্ত মাত্রায় নিয়ে যেতে।'

যদিও তাঁর ৩০ বছরের কর্মজীবনে গাড়ির বাজারে এ ধরনের ওঠানামা তিনি কোনও দিন দেখেননি বলে জানিয়েছেন টাটা মোটরসের পদস্থ এই কর্তা। তিনি বলেন, 'আমাদের খুব সতর্ক হয়ে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের বদলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যা ঘটছে তা বস্তুত কাঠামোগত। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।'

যাত্রিবাহী গাড়ি প্রসঙ্গে বুশেক বলেন, 'আগামী মাসেই আমাদের আল্ফা প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রথম গাড়ি দেশের বাজারে আনা হবে। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।' জানুয়ারিতে অল্ট্রোজ মডেলের হাত ধরে কম্প্যাক্ট হ্যাচব্যাক গাড়ির ব্যবসায় ঢুকছে টাটা মোটরস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়