শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙালির সবচেয়ে বড়ো অর্জন

আসিফুজ্জামান পৃথিল : বাংলাদেশ। পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ যেটি স্বাধীনতা ঘোষণার পর লড়াই করে স্বাধীন হয়েছে। ২৬৬ দিন গর্ভযাতনা সয়ে এ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পেছনে পড়ে থাকে স্বপ্ন। রাজনৈতিক দর্শন আর স্বাপ্নিক দর্শনের ফাঁদে পরে কিছু স্বপ্ন পূরণ হয়, কিছু হয় না। হর্ষ আসে, বেদনা আসে। গর্ভযন্ত্রণাটা থেকে যায়। কখনও কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়ার জন্য, কখনওবা মহিমান্বিত হতে। তবে প্রায়শই গর্বের জায়গাটা মার খায় টিকে থাকার বুভুক্ষার আছে। রাত আসে, ভোর হয়, স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যায়।

আমরা স্বাধীন হয়েছি পৌঁনে ৪৯ বছর আগে। অসম লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছি ৪৮ বছর। গণহত্যায় ¯œাত হয়ে একটি দেশের জন্ম, টিকে থাকা মোটেও সহজ বিষয় নয়। বাংলাদেশ টিকে গেছে। টিকে থাকার গল্প সবসময় মধুর হয় না। গণহত্যার নায়কদের পুরস্কৃত হতে দেখেছে দেশটি। টিক্কা খান, গুল হাসান খান, জামশেদ গুলজার কিয়ানি, রাও ফরমান আলী প্রত্যেকেই প্রমোশন পেয়েছেন। কোনও যুদ্ধে এতোবড় মার খেয়েও এ ধরণের পুরস্কারের ঘটনা সামরিক ডেকোরামে অতি বিরল। তারা যুদ্ধে হেরেও পুরস্কার পেয়েছেন শত্রু একটি জাতির মেরুদ- ভেঙে দেয়ার সফলতার জন্য। তবে প্রশ্ন চলে আসে তারা কতটুকু সফল।

কিন্তু টিকে থাকার অন্য মানেও আছে। পাকিস্তান ইকনমিক রিভিউ যা প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৮৪ সালে অক্সফোর্ড প্রেস থেকে, সেটি বলছে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব প্রকল্পের জন্য ব্যয় হওয়া অর্থের ৮৪ শতাংশ মিটিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। এজন্য বাংলার ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতিতে যদি তা ১৯৭১ সাল থেকেও বিবেচনা করা হয় ৫৩৪ শতাংশ স্ফীতিতে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫৭ কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার। আজকের দিনের টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৪৮ লাখ ৩২ হাজার ৪০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই অর্থে বাংলাদেশ চলতে পারবে কমপক্ষে ৮ বছর! এতোটা লুটপাটের পর যদি কোনও দেশ অর্থনৈতিক মার্ভেলে পরিণত হতে পারে, এর চেয়ে বড় সাফল্য আর কি হতে পারে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বিজয় নিশান উড়ছে ওই, গানটি বেজে ওঠার ৪৮ বছর হয়ে গেলো। যে ফুলের জন্য, যে পাখির জন্য, যে নদীর জন্য, যে গানের জন্য লড়াই হয়েছিলো, তা মুক্ত। গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা জুড়ে প্রতিবছর যে কোটি কোটি লিটার পানি বয়ে যায়, তা অনেক বেশি পবিত্র। কারণ তাতে মিশে থাকে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত। হয়তো অপ্রাপ্তির অভাব নেই। তবে বিজয়ের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী-ই বা হতে পারে? সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়