আমাদের সময়: গ্রামপুলিশকে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ রায় দেন। জানা যায়, দফাদার ও মহলদার মিলেয়ে সারাদেশে গ্রামপুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। তাদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৭ হাজার টাকা। আর মহলদারদের বেতন সাড়ে ৬ হাজার টাকা। গ্রামপুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এ বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা আসে সরকারের কোষাগার থেকে। ব্রিটিশ আমল
থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার গ্রামপুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলি সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। পরে গ্রামপুলিশদের এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ৩৫৫ জন গ্রামপুলিশ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে গ্রামপুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার সচিব, অর্থ সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এর চূড়ান্ত শুনানি করে গতকাল রবিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি জানান, বিধিবিধান অনুযায়ী গ্রামপুলিশ সরকারি কর্মচারী। কিন্তু সরকারি বেতন ভাতার কোনো স্কেল তারা পান না। এ কারণে জাতীয় বেতন স্কেলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য যে পে-স্কেল আছে, গ্রাম পুলিশদের সেই স্কেল দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :