এস এম নূর মোহাম্মদ : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে পর্যবেক্ষণসহ এই আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, যদি আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) প্রয়োজনীয় সম্মতি দেন, তাহলে মেডিকেল বোর্ড দ্রুত তাঁর অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের (বায়োলজিক এজেন্ট) জন্য পদক্ষেপ নেবে, যা বোর্ড সুপারিশ করেছে।
এদিকে রায়ের পর জয়নুল আবেদীন বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। রাজনৈতিক ভাবে নিষ্পেশিত। কি কারণে তার জামিন আবেদন খারিজ করা হয়েছে, তা রায়ের কপি প্রকাশের পর জানা যাবে। আমাদের আইনজীবী প্যানেল পরবর্তি পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। সরকারের সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। একইভাবে জামিন আবেদনও খারিজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জনগণ দেখবে।
এর আগে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার শারিরক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় জামিন দেয়ার আবেদন করছি।
তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে দেখার জন্যে আইনজীবীদের অনুমতি দেয়া হয় না। তার আত্নীয় স্বজনরা দেখা করার পর আমাদের জানিয়েছ যে তিনি দাড়াতে পারেন না। তার বাম হাত নাড়াতে পারেন না। তিনি মারাত্মক অসুস্থ। জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যাবেন না।
এ ছাড়া পাকিস্তানের উদাহরণ টানেন জয়নুল আবেদীন বলেন, পাকিস্তান বর্বর রাষ্ট্র। অথচ নওয়াজ শরীফকে জামিন দিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হয়। উপরে আল্লাহ, আপনারা ছাড়া আমাদের যাবার আর কোনো জায়গা নেই। তাই বারবার আপনাদের কাছেই আসি।