আবুল বাশার নূরু: বুধবার শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর নিজ দফতরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএন-এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব আজ প্রকৃতপক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নানা হুমকির মুখে। জলবায়ু দূষণে দায়ী না থাকলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার। যা উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। বৈঠকে উভয়ের মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে ট্রান্স এশিয়ান রেললাইন বরাবর ফাইবার অপটিক কেবল দিয়ে সংযুক্ত করে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এসডিজির উদ্দেশ্য পূরণে সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, উদ্ভাবন, স্মার্ট সিটির মতো লক্ষ্য অর্জনে ইনক্লুসিভ ইন্টারনেট গুরুত্বপ‚র্ণ অনুষঙ্গ। তাই জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএন-এসকাপ) সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে এশিয়ান-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে যুক্ত করা ফলপসূ হবে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এসক্যাপের নির্বাহী সচিব। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরমিদা সালসিয়াহ বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষণীয়। অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ গত বছর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে মাপকাঠি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তার অংশ হিসেবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এসক্যাপ।
প্রত্যুত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যদি কোনো দেশ অংশগ্রহণ করতে চায়, তাহলে তাদের আমরা স্বাগত জানাবো। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি সাধন করে চলেছে। গত অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি, যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে।