সাইদ রিপন : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ। যা গত অক্টোবরে ছিলো ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত মাসে এই খাতে ম‚ল্যস্ফীতির হার ছিলো ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা অক্টোবর মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকাল এনইসি সম্মেলনে কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি দুর্বিসহ করে তুলেছে ক্রেতাদের জীবন। সরকারের নানা পদক্ষেপ নেওয়া সত্তে¡ও কোনভাবেই কমছে না পণ্যটির দাম। জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি দেশ থেকে বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজের কারণেই এবার মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মূল নায়ক এবার পেঁয়াজ, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। সামনে কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ উঠলেই মূল্যস্ফীতির হার কমে যাবে।
বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে নভেম্বর পেঁয়াজ ছাড়াও ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও চড়া হয়েছে। এদিকে, গ্রামে নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূণ্য ১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহিভ‚র্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ যা অক্টোবর মাসে ছিলো ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহরেও বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। যা অক্টোবর মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর খাদ্য বহিভ‚র্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা এর আগের অক্টোবর মাসে ছিলো ৬ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশ। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও