আসিফুজ্জামান পৃথিল : নেদারল্যান্ডস এর দ্য হেগ শহরে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার শুনানিতে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন আইনজীবি তাজাদফ পাসিপান্দো। তিনি জানান, ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির দপ্তর। পাসিপান্দো আরও জানান, সুচি বলেছেন, সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কেউ নোংরা বাঙালি মেয়েকে ছোঁবে না। ওরা আকর্ষণীয় নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী তাফাদজ পাসিপান্দো আদালতের কাছে আরাকানে এখনো যে ছয় লাখ রোহিঙ্গা আছেন, তাদের দুর্ভোগ ও ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। পাসিপান্দো বলেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের কাঁটাতারের বেষ্টনীর মধ্যে শিবিরে আটক রাখা, চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব করা ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কথা, যা জাতিসংঘ তদন্তে উঠে এসেছে, সেগুলোর বিবরণ দেন। এই আইনজীবী বলেন, রোহিঙ্গাদের চাষাবাদের জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে, খাদ্য সরবরাহ কমানো হয়েছে, তাদের পালিত পশু কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘ তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের অভুক্ত রাখা। এগুলো গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে সনদের লঙ্ঘন। আরও গণহত্যার অপরাধ যাতে না ঘটে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন এই আদালত। তিনি বিভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, এগুলোয় গণহত্যার উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। এরপর তিনি তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।