শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৬:৩০ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৬:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবস স্মরণে আলোর মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক,পটুয়াখালী : পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবস স্মরণে আলোর মিছিল করেছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আজ ৮ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুন্দরম মুক্ত মঞ্চ থেকে আলোর মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে আলোর মিছিলের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত। বিষয়ের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সরকারী কলেজেরে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শহিদুল ইসলাম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাধারন সম্পাদক মুজাহিদ প্রিন্স।
আলোর মিছিলে সুন্দরম, পটুয়া খেলাঘর আসর,বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা,পটুয়াখালী আবৃত্তি মঞ্চ,গণ সংগীত সমন্বয় পরিষদ,মুক্তিযুদ্ধ চেতনা মঞ্চসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালের ৮ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শহীদ আলাউদ্দীন শিশু পার্কে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলনের ম্যধ দিয়ে পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা,শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৯৭১সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পাকহানাদার বাহিনীর অতর্কিত বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় পটুয়াখালী। নির্বিচারে চলে গনহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। ভারতে প্রশিক্ষন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকলে ১৮ নভেম্বর বর্তমান সিইসি কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে ৭ পাক সেনা নিহত হয় এবং আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে পটুয়াখালী জেলা শহরে শক্তিবৃদ্ধি করে পাকসেনারা। পানপট্টি যুদ্ধে বিজয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বেড়ে যায় শতগুন। তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে। সকলের অগচরে ঐ রাতেই একটি লঞ্চে করে পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে যায় পাক বাহিনী। ৮ ডিসেম্বর সকালে মুক্ত হয় পটুয়াখালী। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। মির্জাগঞ্জ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এসে ঐতিহাসিক শহীদ আলাউদ্দীন শিশু পার্কে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হায়দার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়