দেশ রুপান্তর : হিমাল শর্ট স্টোরি কমপিটিশন ২০১৯-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও প্রশংসিত কথাসাহিত্যিক মশিউল আলমের গল্প। হিমালের ওয়েব সাইট থেকে এই তথ্য জানা যায়। মশিউলের গল্পটির শিরোনাম ‘মিল্ক’। বাংলা থেকে অনুবাদ করেছেন শবনম নাদিয়া।
হিমালের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা পড়ে ৩১৯টি গল্প। অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ, কানাডা, চীন, ঘানা, ভারত, মালাউই, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পোল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসরত লেখকেরা। অভাবনীয় সাড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি গল্প স্থান পেয়েছে। অন্য লেখকেরা হলেন দূর ই আজিজ আমনা, শিবানী কামাল ভাসিন, প্রণজা এসজেবি রানা, পৃথ্বী পুধাইয়ারকার, ঝিনুক সেন, আনিকা খান, লিন্ডসে পেরেইরা, রোশনি সেনগুপ্ত, সঙ্গীতা ভাস্কর, প্রিয়াঙ্কা মাশেলকার ও ঋদ্ধি দস্তিদার।
নির্বাচিত এই এক ডজন গল্প নিয়ে ২০২০ সালের প্রথম দিকে একটি বই প্রকাশ করবে বলেও জানায় হিমাল।
কলম্বো ভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক রিভিউ ম্যাগাজিন হিমাল সাউথ এশিয়ান প্রতি বছর আয়োজন করে থাকে ‘হিমাল শর্ট স্টোরি কম্পিটিশন’।
মশিউল আলম: জন্ম ১৯৬৬ সালে, জয়পুরহাটে। মস্কোর পাত্রিস লুমুম্বা গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তার লেখালিখির শুরু ৮০ দশকের মাঝামাঝিতে গল্প দিয়ে। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘রূপালি রুই ও অন্যান্য গল্প’। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘আমি শুধু মেয়েটিকে বাঁচাতে চেয়েছি’ প্রকাশ হয় ১৯৯৯ সালে। পরবর্তী বইয়ের মধ্যে রয়েছে মাংসের কারবার, তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত, ২০০৯, প্রিসিলা, ঘোড়ামাসুদ, জুবোফ্স্কি বুলভার, মাংসের কারবার, দ্বিতীয় খুনের কাহিনি, বাংলাদেশ এবং যেভাবে নাই হয়ে গেলাম। এ ছাড়া অনুবাদ করেছেন বিশ্বখ্যাত কিছু ফিকশন ও নন ফিকশন বই।