শিরোনাম
◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:১৭ সকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুলনা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এ্যানেস্থেশিয়া ডাক্তার নেই, তাই অপারেশনও বন্ধ

ডেস্ক নিউজ :  খুলনার আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে  এক সপ্তাহ ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।কারণ হিসেবে বলা হয়, এখানে এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন করা হচ্ছে না, এমনকি দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন- এমন কোনো রোগীও ভর্তি করা হচ্ছে না সরকারি এ হাসপাতালটিতে। সূত্র: রাইজিংবিডি

এ ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে রোগীর এক আত্মীয় শওকত হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, ‘আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট এই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালে এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক নেই- এটি খুবই হতাশার বিষয়। আবার এ কারণে কোন অপারেশনও করা হচ্ছে না। ফলে গাইনি ও সার্জারিসহ জরুরি অপারেশন প্রয়োজন- এমন রোগীদের আর্থিক ক্ষতিসহ চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি করছেন- এ প্রশ্ন করেন তিনি।

এদিকে, শুধুমাত্র শওকত হোসেন নয়, তারমত অনেকেই জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।

হাসপাতালের সূত্র জানা যায়, আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শুধুমাত্র এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসকের অভাবে গত এক সপ্তাহ অপারেশন বন্ধ রয়েছে। অপারেশনের রোগীদের এ্যানেস্থেশিয়া বা অজ্ঞানের জন্য একমাত্র চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুজ্জামানের পদোন্নতি এবং বদলি হওয়ায় এই সঙ্কট। ফলে অপারেশনের অপেক্ষায় রোগীরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে।

শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের লেবার ও গাইনি বিভাগে গিয়ে মাত্র ২৫ জন রোগী দেখা যায়। যার মধ্যে ছয়জন অপারেশনের অপেক্ষায় রয়েছেন। পুরুষ সার্জারী বিভাগে রয়েছেন ৩০ রোগী, এদের মধ্যে চারজনের অপারেশন প্রয়োজন।

হাসপাতালে ভর্তি সুফিয়া বেগম, হালিমা বেগম, আসমা বেগমসহ অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, ‘এ হাসপাতালে অবাস (অচেতন) করা ডাক্তার নেই, যে কারণে তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মো. রফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, কিছু ছোটখাট অপারেশন ছাড়া সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। কারণ এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক না থাকলে অপারেশন করা সম্ভব নয়। এতে রোগীর জীবন বিপন্ন হবে। এখানে কোন এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক পদায়ন না করলে অপারেশন শুরু করা সম্ভব নয়।

এদিকে, খুলনার সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এসএম আব্দুর রাজ্জাকও ২৯ নভেম্বর থেকে থেকে অবসর গেছেন। নতুন কেউ এখনও আসেননি।

সদ্য বিদায়ী সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিবেদককে বলেন, হঠাৎ করে একমাত্র এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুজ্জামানকে পদোন্নতি দিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক‌্যাল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে বদলি করা হয়েছে। এতে অপারেশন বিঘ্নিত হচ্ছে। আমার দায়িত্ব না থাকলেও আমি বার বার কথা বলছি।

উল্লেখ্য, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে অবকাঠামো ও জনবল না থাকলেও রোগীদের চাপ বরাবরই বেশি। হাসপাতালটি ২০১৭ সালে আড়াইশ’ শয্যা ঘোষণা হয়। অথচ: একশ’ শয্যার এ হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলেরও এক তৃতীয়াংশের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। ৩৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে সাত পদ শূন্য। এছাড়া ১৬২ নার্সের পদের মধ্যে ২০টির বেশি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেও ৩৫ পদ শূন্য। এক প্রকার জোড়াতালি দিয়েই চলছে সরকারি এ চিকিৎসা কেন্দ্রটি।সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়