শিরোনাম
◈ গুলিস্তানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ কর্মকর্তাকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার ◈ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: তিন মাসে ক্ষতি শত কোটি ডলার ◈ দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন ◈ তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, জাতীয় গ্রিডে বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে হতাহত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা বাংলাদেশের ◈ প্রবাসীদের বড় সুখবর দিল ওমান সরকার ◈ জেদ্দায় স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ–সৌদি হজ চুক্তি: ৭৮ হাজার ৫০০ জনের কোটা নির্ধারণ ◈ ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুল্ক আদায়ে সবচেয়ে পিছিয়ে এনবিআর, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা

ইত্তেফাক : আমদানি ও রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি আমদানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের গতি কমে যাওয়ায় এ অভিযোগ আরো জোরালো হয়েছে। বন্দরে বেশকিছু অনিয়মের খবরও পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে একটি অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকির সত্যতা পেয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে দুদক শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়, অনুসন্ধানে জানা যায় যে, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য খালাস করে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটে। গত মাসের শুরুর দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। চিঠিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এ অবস্থায় রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি চালান শতভাগ স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বন্দরের সব পণ্য স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনতে অর্থমন্ত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুদকের ঐ চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুদক সচিব স্বাক্ষরিত ঐ চিঠিতে বন্দরে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষায় তিনটি বিষয় বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, শতভাগ পণ্যবাহী কন্টেইনার স্ক্যান করার জন্য স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের পূর্ব পর্যন্ত পণ্য শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা সমীচীন হবে। এছাড়া পণ্যের এরূপ পরীক্ষার স্থানটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতাধীন থাকা প্রয়োজন। এসব কার্যক্রম পরিচালনা বা তথ্য ধারণ, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিয়োগ করা এবং শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন হলে এ জন্য বাড়তি ব্যয়ের অর্থ আমদানিকারকদের কাছ থেকে আদায় করা যেতে পারে।

সূত্র জানায়, আমদানি-রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে অভিযোগ আসে দুদকের কাছে। এ অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের পর মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের সত্যতা মেলে। দুদকের চিঠিতে বলা হয়, যদিও বিচ্ছিন্নভাবে দুই একটি ঘটনা ধরা পড়ে, কিন্তু অধিকাংশ ঘটনা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের ঘটনা শুল্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং সরকারও সঠিক রাজস্ব আহরণে বঞ্চিত হয়।

সরকারের রাজস্ব আদায়ের মূল খাত তিনটি। এগুলো হলো আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক। গত দুই বছর আগেও শুল্ক আদায়ে ১৫ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি ছিল। কিন্তু গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে এটি ব্যাপকভাবে কমতে থাকে। সর্বশেষ এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম চার মাসে শুল্ক আদায়ে সবচেয়ে পিছিয়ে এনবিআর। আলোচ্য সময়ে শুল্ক আদায় বাড়েনি বললেই চলে। এ সময় ২৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শুল্ক আদায় হয়েছে ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি প্রায় ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও শুল্ক আদায় বেড়েছিল মাত্রা ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তখনও প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল শুল্ক খাত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চশুল্কের পণ্য আমদানির হার কমতির দিকে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এর সঙ্গে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। অনুলিখন : তন্নীমা আক্তার, সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়