শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:৫৮ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কদবেল এখন অর্থকরি ফল হিসাবে সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে

শাহীন খন্দকার : কদবেল একটি সুপরিচিত ফল। সারা শরৎকাল সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) জুড়ে শহর বন্দর, হাট-বাজার, ট্রেন স্টেশন, বাস স্ট্যান্ডে কদবেল পাওয়া যায়। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য কদবেলের কদর সবার কাছে। শিশু কিশোর-কিশোর কাছে খুবই প্রিয়। গাছে পাঁকা কদবেল ঘরে রাখলে এর সুগন্ধে ঘর ভরে যায়। ফলটি দেখতে অনেকটা ক্রিকেট খেলার বলের মতো।

কদবেলের পুষ্টিমাণ যথেষ্ট। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী পুষ্টি উপাদানে রয়েছে খনিজ পদার্থ ২.২ গ্রাম (যা সকল ফল থেকে বেশী) আঁশ- ৫.০ গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৪৯ কিলো ক্যালোরী, আমিষ- ৩.৫ গ্রাম (যা অন্যান্য ফল বেশী), শর্করাা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৫৯ মি. গ্রাম, আয়রন- ০.৬ মি. গ্রাম এবং ভিটামিন-এ, বি ও সি রয়েছে যথেষ্ট।

প্রাচীনকাল হতে আয়ুর্বেদিক বা ইউনানী শাস্ত্রের চিকিৎসায় কদবেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হিসেবে বিবেচিত এবং ভেষজ গুণে ভরপুর। এর ফল, পাতা, ছাল ও শাঁস ওষুধ হিসেবে ও ব্যবহৃত হয়। এর ফল, পাতা, ছাল ও শাঁস ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক সময় পাড়ার ছেলে-মেয়েরা কদবেল গাছের নিচে খেলতো আর টপ করে পাকা এইফল টুপ করে পড়লেই সবাই দৌঁড়ে গিয়ে কুড়াতো। সবাই মিলে খেতে। এখন রীতমিতো ফলটি বাণিজ্যিক অর্থকরী ফলে রূপ নিয়েছে।

কারণ, মুখরোচক ফল হিসাবে এখন সকল বয়সের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় খাদ্য হয়ে উঠেছে কদবেল। কদবেল দেশের বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চলে পাহাড় টিলায় বেশি হয়ে থাকে বলে কারওয়ান বাজারের ফল ব্যাবসায়ি রবিউল ও ছানা জানালেন। এই ফল গাছটি বেশ উঁচু এবং সরু হয়ে থাকে ফলভর্তি গাছরে ডালগুলো নুয়ে পড়ে নিচের দিকে। তিনি মনে করনে, এই গাছগুলোর ফল আকারে বড়। পাহাড়ী গাছগুলোতে ফলন ভালো ফলগুলোও আকারে বড় হয়ে থাকে। তবে এই ফল কম বেশি সারাদেশেই পাওয়া যায়। অন্যান্য ফল গাছের মতো ফলের মৌসুম ব্যতীত গাছটির দিকে কেউ তাকায় না । কদবেলের গাঢ় সবুজ পাতার কোলে ধূসর রঙের ফলগুলো দেখতে অনেকটাই কদম ফুলের মতো মনে হয়।

এই গাছ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ফুট বা ১২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। শাখার কোণে চোখা কাঁটা থাকে। পত্রখণ্ডক গোলাকার। মঞ্জরিতে সবুজাভ সাদা র্বণরে অনকে ফুল থাকে শীতের সময় সব পাতা ঝরে যায়। বসন্তে আবার কাঁচা সবুজ রংয়রে ছোট ছোট পাতায় ভরে ওঠে। এ গাছের পাতা অনেকটাই কামিনি ফুলের মতো। নতুন পাতার পরপরই ফুল আসতে শুরু করে। ফলের খোসা বেশ শক্ত চেড়ার মতো। ভিতরের মাংসে অজস্র বিচিতে ভরা। পাকা কদবেলের বোটাঁর দিকে বােঁটার দিকে ছিদ্র করে কাঠি দিয়ে লবণ আর মরিচের গুড়া মিশিয়ে নাড়াচাড়া করেও অনেকে খায় শহরে। গ্রামে এই ফলটি ভেঙ্গে কাচাঁ মরিচ লবণে মাখিয়ে কলাপাতায় কিংবা প্লেটেও গ্রাম বাংলার সকল বয়সের মানুষেরা স্বাদ করে ভরদুপুরে খেয়ে থাকে।

এই ফল গাছ বীজ থেকে হয় না। গাছের ডাল কাটিং কলম কওে চারা উৎপাদন করতে হয়। এর আদি জন্ম দক্ষিণ ভারতে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়