শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৬ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জয়পুরহাটের কৃষকরা ধুমধামে রোপাআমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন

বাসস : ইতোমধ্যে এই জেলায় শতকরা ৪৫ ভাগ ধান কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ৫ উপজেলার সর্বত্র এখন কৃষকরা আমন ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষক ও মজুরদের হাতে জমিতে আমন ধান লাগানোর পরে তেমন কাজ থাকতো না। ফলে আশ্বিন-কার্তিক মাস কাজের অভাবে মঙ্গা দেখা দেয় এখানকার মানুষের নিকট। দৈনন্দিন খরচ চালাতে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হতো। এমন পরস্থিতিতে উদ্ভাবন করা হয় ব্রি ধান-৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৯, ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৬, ৬২, ৮৭ হাইব্রিড ধানীগোল্ড,স্বর্ণ-৫ বিনা-৭, জিরা শাইল, গুটিস্বর্ণা ও কাটারী ভোগ জাতের আমন ধান।

এছাড়াও পটল পাইরী, চয়ন জাতের ধান স্বল্প সময়ে (৯০ দিন) অল্প খরচে কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করে। ব্রি ধান-৩২, ৩৩, ৩৯, ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৬, ৬২, ৮৭ হাইব্রিড ধানীগোল্ড,স্বর্ণ-৫ ও বিনা-৭ জাতের আমন ধান আগাম জাত হওয়ায় স্বল্প সময়ে এ ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরো জানায়, নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচীর আওতায় ২০১৯-২০২০ রোপা আমন চাষ মৌসুমে ৭৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ৬৭ হাজার ৪৮০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ১০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের রয়েছে ৫৮০ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৫৯ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৮৭ মেট্রিক টন চাল। জয়পুরহাটের ৫ উপজেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি বিএডিসি (বীজ) থেকে উন্নত মানের ধানবীজ সরবরাহ করছে কৃষকদের মাঝে। আলু চাষের জন্য এ জেলার কৃষকরা বেশিরভাগ জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করে থাকেন।

কালাই উপজেলার সরাইল গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম এ  জানান, ৯ বিঘা জমিতে আগাম জাতের বিনা-৭ ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। একই গ্রামের কৃষক আতিকুল ইসলাম ৬ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করে বিঘা প্রতি ১৭/১৮ মণ ধান পেয়েছেন। নতুন ধান বাজারে আমদানি শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে । ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় শতকরা ৪৫ ভাগ ধান কাটা মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায় জানান,  এবার রোপা আমন চাষে জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি অফিস নিবিড়ভাবে মনিটরিং করেছে। বীজ ও সারের কোন সঙ্কট ছিলো না। তবে রোপা আমনের চারা লাগানোর সময় বৃষ্টিপাত কম থাকায় গভীর ও অগভীর নলকূপের সাহায্যে সেচ দিতে হয়। এতে ফলনের কোন সমস্যা হয়নি।

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৮-১৯ রোপা আমন চাষ মৌসুমে জেলায় ৭২ হাজার ৯শ ৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিলো। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিলো ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এতে জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে তা অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিলো। অনুলিখন : ম. সিদ্দিকা, সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়