জান্নাতুল ফেরদৌসী: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় যাত্রীবোঝাই দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এঘটনা পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতি এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস দেরিতে ছাড়বে।
এঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটন করেছে প্রশাসন। উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তুর্না নীশিতা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তুর্না নীশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে।
দুর্ঘটনা কবলিত আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইকবাল হোসেন জানান, উদয়ন ট্রেনটি তুর্না নীশিতা ট্রেনটিকে সাইড দিচ্ছিল। উদয়নের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তুর্না নীশিতা ধাক্কা দিলে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :