সাইফুর রহমান : বৃহস্পতিবারের এই হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছে পুলিশ এবং চিকিৎসকরা। হাজারো বিক্ষোভকারীর অংশগ্রহনে বিক্ষোভের ১৩তম দিনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের শুহাদা ব্রিজ এলাকায় সংঘর্ষে আরো ৩৫ জন আহত হয়েছে। বিক্ষোভের কারণে গ্রীনজোনখ্যাত সরকারি কর্মচারীদের আবাসস্থল এবং বিভিন্ন দূতবাস অভিমুখী সেতুগুলো বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। টাইগ্রীস নদীর পশ্চিম তীরের এমন দুটি সেতুর ব্যারিকেড তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। আল জাজিরা, ফ্রান্স২৪
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের পর থেকে গ্রীনজোন অভিমুখী সেতুগুলোতে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। ইরাকের তেল সম্পদের মূল উৎস বসরা শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এতে ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। বন্দর কর্মকর্তারা জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইম কাসর বন্দর অভিমুখী সড়কে বেশকিছু বিক্ষোভকারী টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা লরি গুলোকে পণ্য পরিবহনে বাঁধা দিলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। গত কয়েক বছর ধরে এমন কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হচ্ছে ইরাকি সরকারকে। ২০১৭ সালে আইএসের পতনের পর এমন চ্যালেঞ্জের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে কয়েক বছরের অচলাবস্থা, দমনপীড়ন, দুর্নীতি ও বেকারত্ব অবসানের দাবিতে বিক্ষোভে নামে সাধারণ জনতা। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলায় ১ অক্টোবর থেকে এপর্যন্ত ২৬০ জন নিহত হয়েছে। এই বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই তরুন। ২০০৩ সালে সাদ্দাম সরকারের পতনের পর থেকে দেশটির দূরাবস্থার জন্য ক্ষমতাসীন অভিজাত শ্রেণীকে দায়ী করে গোটা রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এসআর/এমআই
আপনার মতামত লিখুন :