রাশিদ রিয়াজ : ইদানিং যৌনতা সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে থাকেন এবং এক্ষেত্রে ভিকটিমদের ক্ষেত্রে যারা কাউন্সিলিং করেন তারা বলছেন অসম্মতিতে যৌনতার সময় নারীরা মারাত্মক ভীতিকর অবস্থায় পড়েন। কারণ এধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে শুধু নির্যাতন নয়, অস্বাভাবিক শারীরিক ধকল সইতে হয় নারীকে। পশ্চিমা বিশ্বে ইদানিং ‘রাফ সেক্স’ মারত্মক এক সামাজিক সংকট তৈরি করেছে। যৌনতার সময় পাষণ্ডের মত আচরণ রীতিমত নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বলে অনেক নারীর জন্যে তা মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি এমনকি মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হচ্ছে। সেক্সডল, বিভিন্ন ধরনের সেক্সটয়ের ব্যবহার মানুষকে রোবটের মত যান্ত্রিকভাবে এতটাই অমানবিক আচরণ করতে বাধ্য করছে যে নারীর পক্ষে এর ধকল সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ ইসলামে পুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। ইসলামে যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেয়া হয়নি।
সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তা অবশ্যই বুঝবেন। এবং নিজেদের যৌনাচরণকে এমন পশুত্বের পর্যায়ে নামাবেন না যাতে তা প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দি আটলান্টিক নামে মার্কিন একটি ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্ন ছবিতে অভিনয়ের সময় একই ধরনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় নারীকে। এধরনের পাশবিকতা যৌনতায় অতিরিক্ত পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ায় নারীদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে ভীতি প্রবল হয়ে উঠছে। পর্ন ইসলাম তো বটেই আমার জানা নেই অন্য কোনো ধর্ম একে স্বীকৃতি দেয় কি না। বরং পর্ন কখনোই স্বাভাবিক যৌনতা যে নয় তা এখন প্রমাণিত। একই সঙ্গে এধরনের যৌনতা পুরুষের মধ্যেও অস্বস্তি ও বিভ্রান্তিকর বার্তা দেয়। ধর্ষণের মত ঘটনা বেড়ে যাওয়া এবং এধরনের সংকটও সামাজিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে অসম্মতিতে এধরনের রুক্ষ যৌনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সম্মতির কোনো প্রয়োজন মনে করা হচ্ছে না। আর যতুটুক সম্মতিও আদায় করা হয় তা অনেকটাই জোরপূর্বক বা অর্থের বিনিময়ে হওয়ায় ভুক্তভোগী নারীর আর কিছুই করার থাকছে না। সমীক্ষায় এক চতুর্থাংশ মার্কিন নারী অকপটে স্বীকার করেছেন তারা যৌনতার সময় ভীতিকর অবস্থায় পড়েন।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অনেকে বুঝাতে চান যে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নাই, বরং এই ব্যাপারে পুরুর্ষ অর্থনীতি, সমাজ ও তার আচরণের চালিকাশক্তি হিসেবে নারীর ওপর যৌনতার নামে বর্বর আচরণ করেই ক্ষান্ত নয় এর নানাবিধ উপকরণ শিল্পরুপে পণ্য রুপে বাজারে ছাড়ছে। ব্যাপারটা এমন যে পুরুষকে যৌনতায় একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন যৌন চাহিদা পূরণ করবে আর নারী তার চাহিদা মাফিক চাহিবা মাত্র তা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত ও বাধ্য থাকবে। এই ধারণার পিছনে কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের অসম্পূর্ণ পাঠের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত কুরআনের কিছু আয়াত বা কিছু হাদিস দেখে কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, বরং তা অনেক ক্ষেত্রেই পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে হলে সেই সংক্রান্ত কুরআনের সবগুলো আয়াত এবং সবগুলো হাদিসকে সামনে রাখতে হবে। মনে রাখবেন ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার অবশ্যই স্বীকৃতি আছে।
সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্য-ক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর।
তার মানে কোনো বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান কৃষক তার শস্যক্ষেত্রে ভুলভাবে ব্যবহার করতে পারে না। শস্যক্ষেত্রের প্রয়োজনমাফিক যত্ন ও নিবিড় পরিচর্যা করতে বাধ্য সে। তা না হলে আশানুরুপ ফসল ফলবে না তার শস্যক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে নারীর শারীরিক দিকটি কতই না গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এ আয়াতে। অথচ হঠাৎ করে এই আয়াত কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এমনকি স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধার দিকেও তাকানোর কোন প্রয়োজন যেন নেই। যারা এই ধরনের ধারণার প্রচারণা চালান তারা সাধারণত এই আয়াতটি উল্লেখ করার পর তাদের ধারণার সমর্থনে কিছু হাদিসও উল্লেখ করেন, যেমন-কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। (মুসলিম, হাদিসের ইংরেজি অনুবাদ-৩৩৬৬)
উপরে উল্লেখিত কুরআনের আয়াতা এবং এই ধরনের কিছু হাদিস পেশ করে অনেকই এটা দেখাতে চান ইসলাম কেবল পুরুষের যৌন অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং নারীকে যৌন যন্ত্র হিসেবে যখন তখন যাচ্ছেতাই হিসেবে ব্যবহারের ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে। সোজা কথায় ইসলামে যৌন অধিকার যেন একতরফাভাবে পুরুষের! আসলেই বিষয়টি মোটেই তা নয়।
কুসংস্কারের মূলোচ্ছেদকারি কুরআনের ২:২২৩ আয়াত এক্ষেত্রে বিভ্রান্তির নিরসন ঘটিয়ে দেয়।
মদিনার ইহুদিদের মধ্যে একটা কুসংস্কার ছিল, কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে যোনিপথে সঙ্গম করত তবে বিশ্বাস করা হতো যে এর ফলে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তানের জন্ম হবে। মদিনার আনসাররা ইসলামপূর্ব যুগে ইহুদিদের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিল। ফলে আনসারগণও এই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলেন। মক্কাবাসিদের ভেতর এই কুসংস্কার ছিল না। মক্কার মুহাজিররা হিজরত করে মদিনায় আসার পর, জনৈক মুহাজির যখন তার আনসার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে সঙ্গম করতে গেলেন, তখন এক বিপত্তি দেখা দিল। আনসার স্ত্রী এই পদ্ধতিকে ভুল মনে করে জানিয়ে দিলেন রাসূলুল্লাহ (সা:) এর অনুমতি ব্যতিত এই কাজ তিনি কিছুতেই করবেন না। ফলে ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সা:) পর্যন্ত পৌঁছে গেল। এ প্রসঙ্গেই কুরআনের আয়াত (২:২২৩) নাযিল হয়, যেখানে বুঝানো হচ্ছে- সামনে বা পেছনে যেদিক দিয়েই যোনিপথে গমন করা হোক না কেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। শস্যক্ষেত্রে যেদিক দিয়ে বা যেভাবেই গমন করা হোক না কেন তাতে শস্য উৎপাদনে যেমন কোন সমস্যা হয় না, তেমনি স্বামী তার স্ত্রীর যোনিপথে যেদিক দিয়েই গমন করুক না কেন তাতে সন্তান উৎপাদনে কোন সমস্যা হয় না এবং এর সাথে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তান হবার কোন সম্পর্ক নেই। আরো বিস্তারিত জানার জন্যে আমাদের জন্যে অনেক তাফসির রয়েছে।
এই আয়াতের উদ্দেশ্য ইহুদিদের প্রচারিত একটি কুসংস্কার দূর করা। স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য না রেখে যখন তখন অবাধ যৌনাচারের অনুমোদন নয়। যারা মনে করেন কুরআনে ইহুদি খ্রিস্টানদের কিতাব থেকে ধার করা হয়েছে বা মুহাম্মাদ (সা:) ) ইহুদি খৃষ্টানদের থেকে শুনে শুনে কুরআন রচনা করেছেন, এই আয়াত তাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর বটে! প্রকৃত মুক্তচিন্তার মানুষ বরং এই আয়াতের প্রশংসা করে থাকেন।
ফেরেশতাদের অভিশাপ নিয়ে হাদিসটির বিশ্লেষণ
ফেরেশতাদের অভিশাপ করা নিয়ে হাদিসটা বুখারিতেও এসেছে আরেকটু পূর্ণরুপে
যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যেমন- সঙ্গম করার জন্য), আর সে প্রত্যাখান করে ও তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে বাধ্য করে, ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ করতে থাকে। [বুখারি, ইংরেজি অনুবাদ ভলি- ৪/বুক-৫৪/৪৬০]
লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় স্বামী রাগান্বিত হয়ে কী করছে? স্ত্রীর ওপর জোর-জবরদস্তি করে নিজের যৌন অধিকার আদায় করে নিচ্ছে? নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে?
এই হাদিসে নারীর স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণে স্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও পুরুষকে কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে নিজ অধিকার আদায়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। আবার স্ত্রী যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন সঙ্গত কারণে যৌনাচার হতে বিরত থাকতে চান, তবে তিনি কিছুতেই এই সমালোচনার যোগ্য হবেন না, কেননা ইসলামের একটি সর্বস্বীকৃত নীতি হচ্ছে: আল্লাহ কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না।
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না [২:২৮৬]
আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। [২৩:৬২]
আসলে ইসলাম নারী ও পুরুষ উভয়কেই সতর্ক করেছে।
ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নারত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে সে তার আচরণে ভালো হতে না পারলে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ্য না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়।
আসলে এক শ্রেণীর পুরুষ নিজে ধর্ষকামী, যান্ত্রিক মনোভাব থেকে যৌনতাকে শুধুমাত্র ভোগের বস্তু হিসেবে দেখতে যেয়ে নারীর ওপর এমন অসংযত, অন্যায়ভাবে পাশবিক আচরণ করছে। বিশেষ করে যৌনতার সময় সংবেদনকে তীব্র করতে নারীকে চড় মারা, শরীরে আঘাত করা, থুথু ছিটানো, জান্তব আচরণ আনন্দকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকের ধারণা যৌনতায় এধরনের রুক্ষ আচরণ তাকে আরো অধিকমাত্রায় উত্তেজক ও কামুক করে তোলে। কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে তা এক ধরনের মানসিক বৈকল্যের দিকে নারীকে নিয়ে যাচ্ছে। যৌনতা সম্পর্কে সঠিক রুচি ও আগ্রহ নারী হারিয়ে ফেলছে। এটি তার জন্যে রীতিমত ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর পুরুষ যৌনতায় এধরনের আচরণ তার পক্ষ থেকে সম্ভব হচ্ছে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণে, পর্নগ্রাফি দেখে বা তার যৌনচিন্তায় বৈকল্য ঘটে বা তথাকথিত রোবটিক সেক্স অপসংস্কৃতি নিজের ভালবাসার মানুষ বা অন্যকারো ওপরে প্রয়োগ করে সে তার ধর্ষকামী মনোভাবের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফলে যৌনতার এধরনের অপব্যবহার সম্পর্কে উৎসাহসূচক কোনো সম্মতি থাকছে না বা এর কোনো প্রয়োজনও মনে করা হয় না। অনুমতি নেয়া ছাড়া নারীর ওপর এধরনের আচরণ করার ক্ষেত্রে ধরেই নেয়া হচ্ছে এমন জান্তব আচরণে সে সন্তষ্ট থাকছে। আদতে তা নারীর কাছে অপ্রত্যাশিত এবং তার কাছে যৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি করছে। এবং এক ধরনের ভীতি তাকে তাড়া করে ফিরছে।
যৌন বিশারদরা বলছেন, সবচেয়ে ভাল জিনিস হচ্ছে সঙ্গীর সঙ্গে তার সঙ্গে কি করা হবে সে বিষয়ে কথা বলা, আনন্দের সঙ্গে ভীতিহীনভাবে সে তা গ্রহণ করছে কি না তা যাচাই করে নেয়া তা না হলে এমন অপ্রত্যাশিত আচরণ পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে যোজন যোজন দূরে ঠেলে দিতে পারে। কারণ এধরনের আচরণের সময় নারীরা জানেও না কিভাবে সাড়া দিতে হবে, ফলে বিষয়টি একতরফা জান্তব ও বিরক্তিকর মুহুর্তের সমষ্টিতে পরিণত হয়। তার মনমানস পুরোপুরি এধরনের আচরণে বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বরং এটাই ভাল তাকে জিজ্ঞেস করা, কি সে পছন্দ করে, রাজি কি না এবং তা হলে সম্মতির সঙ্গে পাল্টা সহযোগিতার দরজা খুলে যেতে পারে। কারণ যৌনতার পূর্ব শর্তই হচ্ছে উভয়ই এতে প্রশান্তি লাভ করবেন, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন। এজন্যে সঙ্গীর মনের ভাব জানা তার অধিকার এবং তাতে সদয় সম্মতি ও সন্মানজনক আচরণ একান্তই প্রয়োজন।