শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যায় জেনারেল জিয়ার ভূমিকা তদন্তের দাবি

ভিয়েনা: জেলহত্যা দিবসে শহীদ মহান চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশ্বমানবতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে জঘন্যতম কলঙ্কময় ঘটনা ঘটিয়েছিল গণদুশমনেরা। র্নিমমভাবে তারা হত্যা করেছিল জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। এই চার নেতা ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক এবং পরিচালক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তির অন্বেষায় তাঁরা যেভাবে কাজ করেছেন তা জাতি ভুলবে না। জাতিকে কেউ ভুলাতেও পারবে না।

তিনি বলেন, ‘জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার পরে লালবাগ থানায় ৪ নভেম্বর ‘৭৫ একটি মামলা দায়ের করে জেল কর্তৃপক্ষ। ৬ নভেম্বর ‘৭৫ বিচারপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি কে এম সোবহান ও বিচারপতি মোহম্মদ হোসেন সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে এই তদন্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন জেনারেল জিয়াউর রহমান।’

এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের পুনর্বাসন, ঘাতক রাজাকারদের মন্ত্রী বানানো, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশ, দেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা এবং জেনারেল জিয়ার ক্ষমতারোহন-এইসব বিশ্লেষণে এটা পরিস্কার যে জাতির জনক হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার মূল নায়কদের অন্যতম একজন হলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানে জিয়া স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। ইতিমধ্যে জিয়ার মরনোত্তর বিচারের দাবি উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইনে যেহেতু মরণোত্তর বিচারের পদ্ধতি নেই, সেই কারণে আমাদের দাবি বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যায় জেনারেল জিয়াউর রহমানের ভ’মিকা কী ছিল তা তদন্ত করে জাতির সামনে তুলে ধরা হোক। এতে করে ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকান্ডে কুখ্যাত জিয়াউর রহমানের ভ’মিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড থাকবে। আগামী প্রজন্ম জানবে যে, বাঙালি জাতির অন্যতম কলঙ্কতিলকের নাম জিয়াউর রহমান।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়