রাশিদ রিয়াজ : ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরও রেকর্ড মুনাফা তুলে নিয়েছে তৃতীয় প্রান্তিকে ওয়ারেন বাফেটের বহুজাতিক কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে। বিএনএসএফ রেলপথ নির্মাণ কাজ থেকে সর্বাধিক মুনাফা তুলে নেয় বার্কশায়ার। চলতি বছরে কোম্পানির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৫২ বিলিয়ন ডলার। ফলে কোম্পানিটির নগদ মজুতের পরিমান ফুলে ফেঁপে উঠেছে ১২ হাজার ৮শ কোটি ডলারে। ব্লুমবার্গ
৮৯ বছর বয়স্ক বিশ^খ্যাত ধনাঢ্য ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টকোস্টে জালানি, ইন্স্যুরেন্স, গাড়ি ও জুয়েলারি ব্যবসার পত্তন থেকে বার্কশায়ার কোম্পানি গড়ে তোলেন। এখন ওয়ারেন বাফেটের পক্ষে প্রয়োজনে একটি ১শ কোটি ডলারের চেক প্রদান কোনো বিষয় নয়। শেয়ারবাজারে তার পুঁজি প্রবাহকে অর্থযন্ত্র হিসেবে তুলনা করা হয়। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠান কিনে তা অবিশ^াস্যরকম লাভজনক করে তোলার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ওয়ারেন বাফেট। সংকটে পড়েও গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ, জেনারেল ইলেক্ট্রিক, অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম ও এ্যানাডার্কো পেট্রোলিয়াম নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। তার কোম্পানির শেয়ারগুলোর মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে এবছর ৫.৭ শতাংশ।
ঝুঁকি সত্ত্বেও অব্যাহতভাবে পুঁজির যোগান দিয়ে লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক হিসেবে পরিণত করতে বাফেটের জুড়ি নেই। যা তাকে ঈর্ষারও কারণ। এরপরও বাফেটের তৃষ্ণা মেটেনি। এখনো তিনি ক্ষুধার্ত শে^তহস্তী সমতুল্য প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণে উন্মুখ হয়ে আছেন। তা সে ব্যাংক অব আমেরিকা কর্পোরেশন হোক আর ওয়েলস ফার্গো এন্ড কোম্পানির মত প্রতিষ্ঠানই হোক। অন্তত ৫৫টি কোম্পানির ১০ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন বাফেট। বাফেট বলেন, তোমার হাতীর সঙ্গে নাচে অংশ নেয়া উচিত, তাদের মত নয় যারা তারকাদের সঙ্গে নাচতে অভ্যস্ত। তার ব্যবসায়ীক অংশীদার টমাস রুসো বলেন, যে কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এক বসাতেই মার্কিন ট্রেজারি বিলে তিনি ১২৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :