আরিফ জেবতিক : বর্তমানের দলীয় ছাত্ররাজনীতির মধ্যে ছাত্রদের কল্যাণমুখী কোনো চিন্তা নেই, এটি স্রেফ তাদের মূল দলের এক্সটেনশন। ছাত্রদলকে যদি জিজ্ঞেস করেন যে তাদের মূল দাবি কী, তারা বলবে না যে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও দুইটা করে ছাত্রী হল দরকার, তারা বলবে, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি।’ ছাত্রলীগকে যদি প্রশ্ন করেন, তাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে দীর্ঘজীবী করা, সরাসরি ছাত্র কল্যাণে তাদের কোনো দাবি-দাওয়ার কথা আপনার স্মরণে আসবে না। বামদের তো ব্র্যান্ডিংয়ের ঝামেলাই কেটে উঠলো না, দাবি-দাওয়ার বিষয়টা পরিষ্কার করবে কীভাবে।
বরং গত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছাত্র আন্দোলন হয়েছে সাধারণ ছাত্রদের নেতৃত্বে। শিক্ষা খাতে ভ্যাট প্রতিরোধের আন্দোলন করেছে সাধারণ ছাত্ররা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছে সাধারণ ছাত্ররা। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে রাজপথ কাঁপিয়ে তুলেছে স্কুল-কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। আমাদের দেশে এই সাধারণ ছাত্রদের মধ্য থেকেই উঠে আসতে হবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। দলীয় তকমাধারী চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ, মাসল্যানদের মধ্য থেকে আগামীতে ভালো কিছু পাওয়ার আশা নেই। একেবারেই সাধারণ ছাত্রদের নেতৃত্বে, ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণার্থে ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠবে, এই কামনা করি। এর মধ্যে তত্ত্ব ও তথ্যের সংমিশ্রণ কীভাবে হবে, সেই পথ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। নইলে তারা আবার ওয়াহাবী পেট্রোডলারের খপ্পরে পড়ে উল্টো বিপদেরও কারণ হতে পারে।
নির্বাচিত মন্তব্য : আজাদ মাস্টারÑছাত্র রাজনীতি ছাত্র কল্যাণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট এবং ক্যাম্পাসের ইস্যু ভিত্তিক সীমাবদ্ধ হতে হবে এর বাইরে কিছু নয়, ছাত্র নেতা কিংবা কোনো কর্মীর যদি জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ থাকে তাহলে তাদের উচিত হবে ছাত্র সংগঠন, নির্বাচিত ছাত্র সংস্থা হতে পদত্যাগ করে, ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে নিজ নিজ প্রিয় দলে যোগদান করে কিংবা পৃথক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিজের পছন্দের ইস্যু নিয়ে কাজ করা। জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে দূরত্ব না রাখলে, বড় দুইটা দল এবং মৌলবাদী নানা ছাত্র সংগঠন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিজের স্বার্থেই ছাত্র রাজনীতি কৌশলে লেজুড়ভিত্তিক বানাবেই কোনোভাবেই সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করা যাবে না। ফেসবুক থেকে