সুজন কৈরী : রাজধানীর মিরপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ৫ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, আর্থিক অনটন, ব্যবসায় ধস ও ব্যাংক লোনের বোঝা বইতে না পারায় মিরপুরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী স্ত্রী অঞ্জনা ও ছেলে ফারহানকে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যার পর নিজে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেন সরকার মোহাম্মদ বায়েজীদ। ফারহান মিরপুরের ঢাকা কমর্স কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে। পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে বায়েজীদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় বায়েজীদের ঘরের দেয়ালে নানা রকম লেখা দেখতে পায় স্থানীয়রা। তবে কি লেখা ছিল, তা জানাতে পারেন নি তারা।
প্রতিবেশিরা জানান, বায়েজিদের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। এ কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবসায় লাভবান হতে পারেননি। ঋণও পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করে। এ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন বায়েজিদ।
কাফরুল থানার ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে নারী ও ছেলের লাশ বিছানার ওপরে পাওয়া গেছে। আর বায়েজিদের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পৌছেছে। তারা আলামত সংগ্রহ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :