শিরোনাম
◈ পেলেকে ছাড়িয়ে গে‌লেন, রেকর্ড ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি মেসির কার্ড ◈ মন্ত্রীপাড়া থেকে গ্রেফতার সেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতমার্কিন নাগরিক এনায়েত রিমান্ডে ◈ কোটিপতি তানিয়া বিয়ে করতে চান বেকার ছেলে, স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন ◈ কাতার একা নয়, তাদের পাশে আছে পুরো আরব ও ইসলামি বিশ্ব: আরব লীগ ◈ ওসি নিয়োগে নতুন নীতিমালা: যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ ◈ পুলিশে ফের বড় রদবদল ◈ সীমানা পুনর্বিন্যাসে ভাঙ্গায় সহিংসতা: থানাঘেরাও, গাড়ি ভাঙচুর ◈ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা ◈ প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে কীভাবে ভোট দেবেন, জানালেন ইসি ◈ তারুণ্যের শক্তি আমাদের জাতির চালিকাশক্তি : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:২৮ রাত
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আশুরা দিবসের ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ

আমিন মুনশি : আরবিতে ‘আশারা’ মানে ১০। আরবি মহররম মাসের দশম দিনকে লোকেরা আশুরা বলে জানে। মুসলিম বিশ্বের কাছে দিনটি শোক ও বেদনার। আছে ঐতিহাসিক তাৎপর্য। ৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতবরণ করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র এবং হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমা (রা.)-এর পুত্র ইমাম হোসাইন (রা.)। অন্যায়ের প্রতিবাদে এই দিনে শহিদ হন নবী পরিবারের ৭২ জন সদস্য। এছাড়াও দিনটি মুসলিমদের কাছে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

কারবালার বেদনাদায়ক ইতিহাস ছাড়াও দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় ১০ মহররমের এই দিনে পৃথিবীতে হজরত আদম (আ.) আগমন করেন। নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। নূহ (আ.)-এর নৌকা ঝড় থেকে রক্ষা পায়। দাউদ (আ.)-এর তাওবা কবুল হয়। আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেন। ঈসা (আ.)কে ঊর্ধ্বাকাশে আল্লাহর নির্দেশে এই দিনেই উঠিয়ে নেয়া হয়।

ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে রোজা রেখেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলকে ১০ মহররম রোজা পালন করতে দেখেছি। আর বলতে শুনেছি, রমজানের রোজা ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ের রোজার চেয়ে উত্তম মহররমের রোজা। মদিনায় হিজরতের পর যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) ইহুদিদের এ মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখতে দেখলেন, তখন তিনি এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। ইহুদিরা জানালো, এ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এ তারিখে ফেরাউন নীলনদে ডুবে মারা যায়। এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হজরত মুসা (আ.) এ দিনটিতে রোজা রাখতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, আমরাও মুসা (আ.)-এর অনুসরণ করব। তোমাদের চেয়ে আমাদের অধিকার বরং বেশি। তিনি তখন থেকে মহররমের ১০ তারিখ রোজা রাখা শুরু করলেন এবং সবাইকে নির্দেশ দিলেন। (বোখারি : ১৮৬৫)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়