শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি, চীনের হারানো অর্ডার এলো দেশে ◈ বিরল দৃশ্যের অবতারণা, কাবা ঘরের ওপর নেমে এলো চাঁদ ◈ ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া সেই ফারজানা ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার (ভিডিও) ◈ মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টা, লন্ডন পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের ◈ সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই ◈ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য চীনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে যে নতুন নির্দেশনা ◈ জনগণ রায় দিলে ৫ বছরেই দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব: জামায়াত আমীর ◈ সহকারী শিক্ষকদের জন্য নতুন নির্দেশনা, সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে যেসব তথ্য ◈ রাতে ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ ডাকসুর পর জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীরে জাতিসংঘের তদন্ত চাইল পাকিস্তান, আশঙ্কা গণহত্যার

রাশিদ রিয়াজ : পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশী জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবিলম্বে জাতিসংঘের তদন্তের আহবান জানিয়ে বলেছেন, সেখানে গণহত্যা চালাতে পারে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি সেখানকার মানুষের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বলেন, গত ৫ আগস্ট নয়াদিল্লি সরকার অচলাবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে। কাশ্মীরে মানুষের ওপর পরিকল্পিতভাবে ধারাবাহিক মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটছে। গত ৬ সপ্তাহ ধরে ৮০ লাখ কাশ্মিরী অবৈধ সামরিক দখদারিত্বে মধ্যে বন্দী হয়ে রয়েছে। দশকের পর দশক ধরে সেখানকার মানুষের ওপর নির্যাতন চলছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিশে^ ভারত কাশ্মীরকে সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত করেছে। সেখানকার মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। দোকানপাটে জিনিসপত্র মিলছে না। হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ নেই। আহত মানুষ জরুরি চিকিৎসাটুকু পর্যন্ত পাচ্ছে না। কুরেশী বলেন, কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের আটক করে রাখা হয়েছে। ৬ হাজার মানুষকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে যাদের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তি রয়েছে। ভারত তার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরকে রাজ্যে পরিণত করেছে যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা বিরুদ্ধ।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ভারত কাশ্মীরে যা কিছু করছে তা সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের নামে করছে যা হাস্যকর। কাশ্মীরের মানুষের জীবন হুমকির মুখে। তারা গণহত্যার মুখোমুখি। ভারতের সেনাবাহিনী কাশ্মীরে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে যা আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ভারত যদি কাশ্মীরে কিছু গোপন না করে তাহলে সেখানে জাতিসংঘের তদন্ত করতে দেয়া উচিত। অবিলম্বে কাশ্মীরে প্যালেট গান বন্ধ, কার্ফিউ তুলে নেয়া, আটক ব্যক্তিদের মুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে দেয়ার দাবি জানান কুরেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়