আলী রীয়াজ : প্রায়শই ফেসবুকে অনেককেই উগান্ডার কথা লিখতে দেখেছি, কিছু ঘটলেই উগান্ডার কথা তোলা হচ্ছে- আমার মনে হয়েছে এগুলো রসিকতা মাত্র; কিন্তু এখন বুঝলাম আমারই বোঝার ভুল; না হয় চট্টগ্রাম ওয়াসার ২৭ জন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘ওয়াসার সক্ষমতা’ বাড়ানোর ‘প্রশিক্ষণে’ উগান্ডা যাবেন কেন? যে দেশে নিরাপদ পানি পাওয়া মানুষের হার বাংলাদেশের চেয়েও কম সেখান থেকে কি ‘প্রশিক্ষণ’ নেয়ার আছে? তবে আশার বিষয় এই নিয়ে খরচ খুব বেশি হয়নি-মাত্র পাঁচ কোটি টাকা।
‘পকেট মানি’ হিসেবে প্রত্যেকে পেয়েছেন মাত্র দুই লাখ টাকা করে। ১ হাজার ৮শ কোটি টাকার প্রকল্প-পাঁচ কোটি টাকায় কী আসে যায়? অবশ্য এই দুই দেশের মিল এক জায়গায় আছে-কেন এই মিল সেটা এই ঘটনায়ও বোঝা গেলো।
নির্বাচিত মন্তব্য : সৈকত পারভেজ- ট্রেইনিং করতে যাওয়া একজন লোক ফিডব্যাক দিছেন। উগান্ডায় রাস্তা খুড়ে কাজ করা হয় না, এটা তারা শিখেছেন। আর তাদের সেখানে যাওয়ার যৌক্তিকতা হলো :উগান্ডা পানি সাপ্লাইয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে, পানি পাওয়ার হার আমাদের থেকে কম। ২. শেখ বাতেন- দেশে বাংলাদেশ নিয়া কথা বেশি কওন যায় না বলে রসিকতার ব্যপারটাও আছে। তুমি তো অনেক কথা বলে যাচ্ছ। এমন কয়েকজন হলেও একটা পরিস্থিতি/ট্রেন্ড তৈরি হতো। এক কোকিলের ডাকে কি বসন্ত আসে? ৩. আনিসুর রহমান- জনগণের দেশ হলে জবাব দিহিতা থাকতো। ওটা সংবিধানে ব্যবহৃত শব্দ বিশেষ বৈ আর কিছু না। এদেশের মৃত্যু ঘন্টা কখন কীভাবে ঘটবে সেটা যদিও এখন বলা যাচ্ছে না তবে সেই পথেই আগাচ্ছে এটা বলা যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :