শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারীকে ভাঙতে গড়তে পুরুষ বিধাতার মতো ক্ষমতাধর

মুন তাসলিমা শেখ : বাঙালি নারীর শাড়ি ছিলো এক খ- কাপড়। সায়া বা ব্লাউজ তখনো আবিষ্কার হয়নি। কেউ সে প্রয়োজনীয়তাও বোধ করেনি। সারা শরীর ঢাকতে এ বারো হাত কাপড় ব্যবহার হতো। ঠাকুরবাড়ির বউরা ব্লাউজের প্রবর্তন করেন। সে ব্লাউজ ছিলো একটি জ্যাকেটের মতো। সে জ্যাকেট পরাতে চারপাশে ছ্যা ছ্যা পরে গেলো। ছিঃ ছিঃ বাঙালি নারীরা দেখি মেম হয়ে গেলো। জাতপাত আর থাকলো না। সে ব্লাউজের আজকের বিবর্তন দেখলে জ্যাকেটের কথায় হাসি আসবেই। এভাবে সময় ‘শালীন’ পরিবর্তনকে ‘অশালীন’ এবং ‘অশালীন’কে ‘শালীন’ এবং ‘যৌন আবেদনময়ী শালীন’ করে। যদিও সে কিস্তিতে ব্লাউজ এসে নারীকে নিম্ন শ্রেণির নারী থেকে আলাদা করে গেলো। এভাবে শাড়ি ব্যবহারের রীতি ও অনুষঙ্গ নিম্নএবং উচ্চ শ্রেণির নারীকে শ্রেণিতে বিভাজিত করে।

মেয়েদের পর সায়া এবং ব্লাউজ ধনী এবং ইংরেজি শিক্ষিত নারীরা পরতে শুরু করে। এমনকি কুঁচি দিয়ে পরার ধরনও ঠাকুরবাড়ির বউয়েরা প্রবর্তন করেন। এ পরিধেয় বস্ত্রটি এবং তার অনুষঙ্গ এ অঞ্চলের নারীদের পোশাক যা এক জায়গায় একইভাবে কোনোদিন ছিলো না ঠিক যেমন পুরুষের পোশাকও বিভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে। নেংটি ছিলো বাঙালি পুরুষের পোশাক। একটি অঞ্চলের পোশাক সেখানকার জলবায়ু এবং স্থানীয় মেটেরিয়ালের ভিত্তিতে বিবর্তনের ভেতর দিয়ে চলে। অনেক দেশে এখনো মেয়েরা শুধু কাঁচুলী পরে। যৌনময়ী হওয়ার জন্য নয়, এটা তাদের আঞ্চলিক বস্ত্র হিসেবেই তারা পরে।

কোনো কোনো কালচারে নারীর পোশাক টপলেস। তারা সেভাবেই জীবনযাপন করে। সন্তান উৎপাদন, স্তন্যদান সব তারা সেভাবেই করে। বয়সের সঙ্গে নারীর স্তন বিভিন্ন রূপ নেয়। তরুণী, বৃদ্ধা সবার উপরের অংশ খোলা থাকে এবং সেটাই তাদের পোশাক। তাদের উন্মুক্ত বক্ষের কাব্য রচনা শুধু সে কারণে করা রীতিমতো ধর্ষণ। কিন্তু কোনো পুরুষ বা নারী লেখক যদি তার গল্পে, গল্পের প্রয়োজনে মিলনের দৃশ্য বর্ণনায় বা অন্য প্রেক্ষাপটে নারীর দেহ বল্লরীর মোহনীয়তা বর্ণনা করেন সেটি সেই গল্প বা উপন্যাসের কল্পিত চরিত্র এবং সে চরিত্ররসহ চরিত্র সম্পর্কিতভাবে তৈরি হয়। সেটি তার ফ্যান্টাসি। সেটি পাঠক পরবে বা ভাঁজ করে রেখে দেবে সেটা সে পাঠকের বিষয়। কিন্তু কোনো একটি অঞ্চলের নারীর শরীরের উপরের অংশ উন্মুক্ত বলেই আপনি কলম নিয়ে সে অঞ্চলের নারীর স্তন বর্ণনার কাব্য শুরু করবেন, তারিয়ে তারিয়ে রস কাব্য করবেন, সেটি সেই অঞ্চলের নারীদের ইন্টিগ্রিটির উপর আপনার যৌন থাবা। আর কিছু নয়। আমাদের পুরুষেরা সাহিত্য সৃষ্টি করেছে তাদের ইচ্ছে অনুসারে। নারী একটি অবজেক্ট।

তাকে পোশাক পরানো, পোশাক খোলা তারা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী করেছে। রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বলেছেন, ‘শুধু বিধাতার সৃষ্টি নও তুমি নারী, পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারী’ অর্থাৎ নারীকে তারা তাদের মতো ভাঙতে গড়তে বিধাতার মতো ক্ষমতাধর। সে ক্ষমতায় টান ধরেছে সে খবর একটি শিশু বুঝলেও কেবল তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়