আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ঘরের ভেতর মাছ চাষ করে পুকুরের চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ বেশি উৎপাদন সম্ভব। বছরে ১০ টন শিং-মাগুর মাছ উৎপাদনের জন্য অন্তত ১০ বিঘা পুকুর প্রয়োজন। কিন্তু এ প্রযুক্তিতে মাত্র ৬-৭ কাঠা জমিতে সে পরিমাণ মাছ উৎপাদন করা যায়। অর্থাৎ এক ঘনমিটার পুকুরে দুই কেজি মাছ হলে আরএএস (রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম) পদ্ধতিতে ৫০ থেকে ৬০ কেজি মাছ উৎপাদন করা যায়। বাংলাদেশে এখন এ প্রযুক্তিতিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সার্বক্ষণিক ফিল্টারিংয়ের ফলে পানি পরিশোধন হয় আর পরিশোধিত পানির ১০ শতাংশ বর্জ্য হিসেবে বের হয়ে যায়। এটি আবার জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। মাছের খাবার নষ্ট হয় না।সাধারণত পুকুরে অক্সিজেনের স্বল্পতা থাকে, এখানে সে অসুবিধা নেই।৯০ শতাংশের বেশি পানি সম্পূর্ণ শোধন করে পুনর্ব্যবহার করা যায়। তবে এই পদ্ধতির জন্য সার্বক্ষণিক বিদুতের দরকার হবে।
ঢাকার বনশ্রীতে আরএএস পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন আব্দুস সামাদ। তিনি জানান, পাঁচটি চৌবাচ্চায় ৬০ হাজার লিটার পানিতে তিনি প্রজেক্টটি শুরু করেছেন। প্রতিটি চৌবাচ্চায় আড়াই থেকে তিন হাজার তেলাপিয়ার পোনা ছাড়া হয়েছে। যখন কেজিতে তিন থেকে চারটি হবে তখন বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
আব্দুস সামাদ বলেন, সব হিসেব করে দেখা গেছে এই প্রজেক্ট থেকে ৬ টন মাছ পাওয়া যাবে। তবে কেউ যদি পুরোপুরি আরএএস প্রযুক্তির ব্যবহার না করে তাহলে তার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব হবে না।
এই প্রজেক্টের পানি ফিল্টারিং পদ্ধতি ও কিভাবে শুরু করা যায় সে বিষয়ে নিউজের সাথে দেয়া ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করা হযেছে।