শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ০৭:০৪ সকাল
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ০৭:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডোমারে গেন্ডারি ও হাইব্রিড জাতের আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

রতন কুমার : নীলফামারির ডোমারে স্থানীয় নামে পরিচিত গেন্ডারি ও হাইব্রিড জাতের আখ চাষে সফল ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,উঁচু ও পানি নিষ্কাশন জমিতে গেন্ডারি, হাইব্রিড জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। আখচাষিরা আখ ক্ষেতেই খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করছে।

চাষিদের দেওয়া তথ্যমতে- বাংলা সনের আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপণ করা হয়। আখ বাজারজাতকরণের উপযোগী হতে সময় লাগে প্রায় ৮ হতে ১০ মাস। প্রতি একর জমিতে ৩০ হাজার হতে ৩৫ হাজার আখের ফলন হয়। প্রতিটি ৬ টাকা হতে ১০ টাকা এমনকি চাহিদা অনুযায়ী এরচেয়ে অধিক দামেও বিক্রি হয়।একরে ২ লাখ থেকে সোয়া দুই লক্ষাধিক টাকায় আখ বিক্রয় করা যায়। প্রতি একর আখ চাষে উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আখ চাষের পাশাপাশি আখক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আলু, শাক, ও অন্যান্য সাথী ফসল চাষ করা যায়। সাথী ফসল বিক্রি করে আখ চাষের উৎপাদন খরচ তোলা যায়। তুলনামূলক হিসেবে অন্যান্য চাষাবাদের চেয়ে আখ চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়। উপজেলার নয়ানী গ্রামের আখ চাষি চন্দন, আমীন, পশ্চিম বোড়াগাড়ী গ্রামের হুসেন, নুরল জানান-আখ চাষে অধিক মুনাফা হলেও ব্যাপকহারে আখ চাষের পরিকল্পনা নেই। কারণ এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খায় মানুষ, বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা যায় না। সুগারমিল্স এই জাতের আখ ক্রয় করে না।

ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাফর ইকবাল বলেন, ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের চিবিয়ে খাওয়া (চুইমিং ) আখ গেন্ডারি ও হাইব্রিড নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্যই,এই জাতের আখের রস দিয়ে চিনি, গুড় তৈরি করা হয় না। বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্য অনেক চাহিদা আছে আমাদের দেশে। ডোমার উপজেলায় প্রতি বছর ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়, চলতি বছরে উপজেলায় ৮হেক্টর জমিতে ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়েছে।
সম্পাদনা : মুরাদ হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়