শিরোনাম
◈ হত্যার অস্ত্র এক পার্ক করা গাড়ি: যেভাবে হত্যা করল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধানকে ◈ চার লাখ কোটির খেলাপি: ১০ ব্যাংকেই আটকে তিন লাখ কোটি ◈ ১১ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি ৩৬.৫৬ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১০.২০% ◈ ইরানের দিকে যাচ্ছে মার্কিন রণতরী ◈ জামায়াতের অবস্থানে হঠাৎ পরিবর্তন কেন? ◈ মেয়রের শপথ: ইশরাক-আসিফ বাকযুদ্ধ, এর সমাধান কি? ◈ 'আমি করতেও পারি, নাও পারি', ইরানে হামলায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ইসরাইল লক্ষ্য করে এবার হাইপারসনিক ছুড়েছে ইরান ◈ লন্ডন বৈঠকের পর বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে ফাটল: হতাশা, বিরক্তি ও রাজনীতির নতুন সমীকরণ ◈ পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন নয়: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য আপদ এবং বিপদ

বিভুরঞ্জন সরকার : বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত রোহিঙ্গারা ২৫ আগস্ট এক বড় সমাবেশ করেছেন। বেশ সাজসজ্জা করেই এই আয়োজন হয়েছিলো। কিন্তু সরকারের নাকি এটা জানা ছিলো না। সমাবেশের উদ্যোক্তাদের একজন মহিবুল্লাহ। তিনি রোহিঙ্গা। তার মদদদাতা কে বা কারা? তার আগে জেনে নেয়া দরকার কে এই মহিবুল্লাহ? তিনি মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী। তবে সম্প্রতি প্রিয়া সাহাসহ যে ৯ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘নালিশ’ জানিয়েছেন, তাদের একজন এই মহিবুল্লাহ।

মহিবুল্লাহ কোন দেশি পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকা গেছেন? বাংলাদেশি। বাংলাদেশ কোন আইনে তাকে নাগরিকত্ব দিলো? পাসপোর্ট দিলো? তাকে আমেরিকা যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি ট্রাম্পের কাছে কি বলেছেন? বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন? মিয়ানমারের শাসকদের বিরুদ্ধে বলেছেন? প্রিয়া সাহার নালিশি বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হলো, মহিবুল্লাহরটা হলো না কেন? আমেরিকা থেকে তিনি কি ‘সবক’ নিয়ে এসেছেন? বাংলাদেশে ফিরে তিনি রোহিঙ্গাদের সমাবেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দাবি-দাওয়া তুলে ধরছেন। মিয়ানমারে না ফেরার কথা বলছেন। প্রিয়া সাহাকে নিয়ে কতো হৈচৈ হলো। তিনি ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ তুলে দেশবিরোধী কাজ করেছেন। দেশে ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মহিবুল্লাহকে কেন জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হলো না? মহিবুল্লাহ কি বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে কাজ করছেন? তার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।

রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে তারা আপদ এবং বিপদ হয়ে উঠেছেন। তারা এখানে নিরাপদে আছেন। আছেন কিছুটা আরাম-আয়েশেও। তারা আর মিয়ানমার ফিরতে চান না। ১২ লাখ মানুষ আর নিজ দেশে না ফিরলে আমাদের উপর যে চাপ তৈরি হবে তা বহনের ক্ষমতা আমাদের আছে কি?
লেখক : গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়