ফাতিমা জান্নাত : ফরিদপুরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। জমিতে শুকিয়ে যাচ্ছে পাট, তাই বাধ্য হয়ে তা কেটে ফেলতে হচ্ছে। অন্যদিকে খাল-বিলে পানি না থাকায় পচানো যাচ্ছে না। পাটের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা। ইনডিপেনডেন্ট টিভি, ৮:০০
এ বছর ৮২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কিন্তু দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা।
তারা বলেন, বৃষ্টি অভাবে শুকিয়ে আছে খাল-বিল। এতে পাট পচানো নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা।
মেহেরপুরে পাট পচাতে টাকা দিয়ে বিভিন্ন পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করছেন কৃষকরা। বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে শ্রমিকের পেছনে। অথচ কিছুদিন আগেও যে পাটের দাম ছিল ১৬শ টাকা মণ, এখন তা নেমেছে ১৩শ টাকায়।
এক কৃষক বলেন, এবার শুকনো বছর বিল খালে পানি নাই, ধনীদের পুকুর পানি আছে তারা বিঘা প্রতি ৫শ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। জমি অনুযায়ী পাট বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা। এতে কিছুই থাকছে না।
গোপালগঞ্জেও খাল-বিলে পানি না থাকায় কম পানিতে বেশি পাট পচাতে দিতে হচ্ছে। কালচে হচ্ছে আশের রঙ। চাষীদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
গোপালগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রমেশ চন্দ্র বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় পাট দূরের কোন স্থানে পচাতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
একই অবস্থা চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, বেনাপোল, নীলফামারীর পাটচাষীদেরও। অর্থকরী এই ফসলের লোকসান এড়াতে কৃষিবিভাগের পরামর্শ ও সরকারি সহায়তার আশা করছেন তারা। সম্পাদনা : আহসান