এস এম নূর মোহাম্মদ : নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির ঘটনায় মাদ্রাসার তৎকালীন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ‘নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। আদালতের নির্দেশে জনপ্রশাসন সচিবের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৫ জুলাই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় তৎকালীন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সেই অনুযায়ী এ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পিকে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে তদন্ত করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হাবিবুর রহমান । প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়, নুসরাতের মায়ের দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামী অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাহ জেল হাজতে থাকায় মামলার বিষয়ে তার সরাসরি কিছু করার নেই মর্মে এডিএম পিকে এনামুল করিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইন সঙ্গত। তবে উভয়পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে কিছু বৈপরিত্য রয়েছে।
পরবর্তী ঘটনার আকস্মিকতা ও পারস্পারিকতায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মো.ওয়াহিদুজ্জামানের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত “এডিএম পিকে এনামুল করিম এর নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কথা বর্ণনা করে কিছু কিছু মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি”মর্মে দেওয়া বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য ও যৌক্তিক মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। সম্পাদনা : আহসান/ মুসবা
আপনার মতামত লিখুন :