হ্যাপি আক্তার : রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এর মধ্যে চিকিৎসক ১০৪ এবং নার্স ১৩৬ জন। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ৯:০০
মৃত্যু হয়েছেন ৭ চিকিৎসক ও ১ স্বাস্থ্য সহকারীর। বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালে মশার উপদ্রব থাকায় শঙ্কা নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নার্স শঙ্করি মিস্ত্রি। তার সেবায় অনেক ডেঙ্গু আক্রান্ত সুস্থ হলেও এবার নিজেই আক্রান্ত। অবস্থা জটিল হওয়ায় ভর্তি আছেন আইসিইউতে। মা হওয়ার কথা ছিলো ১৮ আগস্ট। এখন গর্ভের সন্তানকে নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনি আজম বলেন, গর্ভের শিশুটি যেন সুস্থ্যভাবে জন্ম নেয় সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হয় নার্সদের। তাই তারাই আক্রান্ত হয়েছে বেশি, সংখ্যা ১৩৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৯০ স্বাস্থ্য সহায়ক কর্মীও।
আশপাশে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ডেঙ্গুতে ভুগছেন ২৫ চিকিৎসকসহ ৫৫ স্বাস্থ্যকর্মী।
আক্রান্ত ১০৪ চিকিৎসকের মধ্যে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৭ জন। মশারি থাকলেও অনেক হাসপাতালেই ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগী তা ব্যবহার করেন না। এতে ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করতে হয় চিকিৎসকদের।
ডেলটা হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেক ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে। তাই ডাক্তাদেরও সচেতনতার বিষয়টি অনেক বেশি জরুরি।
দেশে হাসপাতাল-ক্লিনিক ৭ হাজার, এর মধ্যে ২৪টিতে চিকিৎস, নার্স ও স্বাস্থ্যসহকারীসহ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আায়শা আক্তার বলেন, জানুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের মতো ছিলো। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ডাক্তারদের আত্মত্যাগের কারণে। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :