শিরোনাম
◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:০০ সকাল
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝুঁকিতে গাইবান্ধার ঝিনুকের তৈরি চুনশিল্প, পেশা পরিবর্তন করছেন কারিগররা

রফিকুল ইসলাম : গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও সদর উপজেলার ঝিনুক থেকে চুন উৎপাদনকারী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পেশাজীবী পরিবার এখনও নানা সমস্যা সংকট নিরসন করেও পৈত্রিক পেশাকে আঁকড়ে ধরে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়ার বাজার সংলগ্ন জলেরমোড়ের যুগিপাড়া গ্রামটি এই ঝিনুকের চুনের কারিগরদের কারণে ইতোমধ্যে চুনের গ্রাম নামেই সর্বাধিক পরিচিত অর্জন করেছে। এই যুগিপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে স্বাধীনতা পূর্বকালে প্রায় ১শ ৩০টি পরিবারের বসতি ছিল। যারা ঝিনুকের চুন তৈরি করে খুব স্বচ্ছল জীবন যাপন করতো। কেননা, সে সময় চারদিকে নদী বেষ্টিত এ জেলায় ঝিনুক পাওয়া যেত অনেক বেশি। উৎপাদিত চুন এখান থেকে যেতো পার্শ্ববর্তী জেলায়।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জলের মোড় যুগিপাড়া গ্রামের যুগিরা জানালেন, ঝিনুকের কোমলাংশ এবং চুন বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ হয় ৫শ ৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৬শ টাকা। যা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা দু:সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতায় খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় নদী-নালা-খাল-বিল থেকে এখন আর সহজেই ঝিনুক পাওয়া যায় না। ফলে জেলার বাইরে থেকেও বেশি দামে ঝিনুক কিনে আনতে হয়। এতে চুনের উৎপাদন খরচ পড়ে যায় অনেক বেশি। তদুপরি ইদানিং সমুদ্রের শঙ্খ এবং সাদা রংয়ের ঝিনুক থেকেও চুন তৈরি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বগুড়াসহ অন্যান্য জেলায়। সেখানে শঙ্খ এবং সাদা ঝিনুকও কিনতে পাওয়া যায়। সামুদ্রিক শংখ এবং সাদা ঝিনুক থেকে যে চুন হয় তার রং এমনিতে হয় সাদা। ইদানিং কোথাও কোথাও এসিড মিশিয়ে সাধারণ ঝিনুকের চুনের মত সাদা ধবধবে করা হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। আবার এইসব সাদা চুনের চাহিদাও অনেক বেশি। এতে দামও পাওয়া যায় অনেক বেশি। কিন্তু যুগিদের চুনে কোন কেমিকেল মেশানো হয় না বলে তার রং হয় একটু কালচে।

জলেরমোড়ের যুগিপাড়ার যুগিরা জানালেন, তাদের দাবি আর্থিক কারণে তারা আদি এই গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারছে না। এ জন্য সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দেয়া হলে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়