শিরোনাম
◈ কলকাতায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি, দুর্যোগ চলবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ◈ আঘাত হেনেছে রেমাল, ৩ জনের মৃত্যু ◈ অবশেষে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন ◈ বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ হাজার মানুষ ◈ ঘূর্ণিঝড় রেমাল: দক্ষিণের ৪০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ◈ ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বঙ্গবন্ধু টানেলে যানচলাচল বন্ধ ◈ ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বরগুনায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ◈ ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বরিশালে বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রামে ঢুকে পড়ল পানি ◈ ঘূ‌র্ণিঝড় রেমাল: ভোলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৮ হাজার মানুষ, প্লা‌বিত নিম্নাঞ্চল ◈ হায়দরাবাদকে হারিয়ে কলকাতার তৃতীয় শিরোপা জয়

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, কর্তৃপক্ষ এটাকে দেখছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে

আমিন মুনশি : চলতি বছরও হজের পর বিশেষত মিনা, মুজদালিফা এবং আরাফাতের ময়দানে চলছে ময়লা নির্মূলের বিশেষ অভিযান। সেখানে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। হজের সময়কার কয়েক হাজার টন আবর্জনা ওঠছে। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য হাইড্রোলিক সংক্ষেপক এবং নির্দিষ্ট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য সংক্ষেপক স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষের জন্য এখন প্রায় আড়াই মিলিয়ন হজযাত্রীর ফেলে যাওয়া ময়লা পরিষ্কার করা দুঃসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এটাকে দেখছেন বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে।-উর্দু নিউজ.কম

হজের সময় মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ডাস্টবিনগুলো, সেখানকার রাস্তাগুলো ভরে যায় খালি প্লাস্টিকের বোতল এবং আবর্জনায়। পুরো অঞ্চলটি ৮০০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত। এই বিশাল অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা লক্ষ লক্ষ হজযাত্রীর উপস্থিতিতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মসজিদুল হারামের কর্মকর্তা মাহমুদ আল সানির মতে, মসজিদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তিনটি ধাপ রয়েছে। হজযাত্রীদের আগমনের পূর্বে একবার, হজের সময় এবং হজযাত্রীদের বিদায়ের পর এখন পরিষ্কার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘হাজিদের আগমনের আগেই পুরো এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়। হজের ৬ দিন আগেই অঞ্চলটি যতোটা সম্ভব সুন্দর রাখার চেষ্টা করা হয়। হাজিরা চলে যাবার পরে অঞ্চলটি আবার পরিষ্কার করা হয় এবং আবর্জনা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্যও তখন কাজ করা হয়। এর উদ্দেশ্য, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা।’

মক্কার মসজিদে হারামে পরিষ্কার ও সুগন্ধি রাখার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন ৩০০০ লিটারেরও অধিক কলঙ্গ পণ্য এবং ৬০০ লিটার গোলাপ ব্যবহার করা হয় এখানে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে যারা এখানে এসে ইবাদত-বন্দেগি করেন তাদের অন্তরে তাই স্থায়ী পরিচ্ছন্নতা এবং একটি মনোরম সুবাস সবসময় দৃশ্যমান হয়; তবে এটি কোনও সহজ কাজ নয়। এ জন্য ৪০০০ লোক এখানে ২৪ ঘন্টা কাজ করেন। তারা কাবা শরিফের আঙিনা দিনে ৪ বার ধোয়ামোচা করেন। ৪৮০০’র বেশি মেশিন নিয়মিত ব্যবহৃত হয় পরিচ্ছন্নতার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়