রাশিদ রিয়াজ : এমনিতে আর্থিক টানাপোড়েনে চলছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এরমধ্যে ৩,১০০ কোটি টাকার মার্কিন সাহায্য কমিয়ে দেওয়া হল। এখন বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান পাবে ৪.১ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু সহায়তার প্রাপ্তি হিসেব করলে এ ধীরগতিতে তা আদতে এসে ঠেকেছে ৩ বিলিয়ন ডলারের সামান্য কিছু বেশি। আর সহায়তা পাওয়ার পরও ৯শ মিলিয়ন ডলার এখনো অব্যবহৃত রয়ে গেছে। ২০১০-এ পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাক্ষর হওয়া পাকিস্তান এনহ্যান্সমেন্ট পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী এই আর্থিক অনুদান পায় ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওয়াশিংটন সফরে আসার তিন সপ্তাহ আগেই তাকেই এধরনের অনুদানে কাটছাঁট করার কথা জানিয়ে দেয় মার্কিন প্রশাসন।
সন্ত্রাসবাদ রোধে পাকিস্তান উল্লেখযোগ পদক্ষেপ না নেয়াতেই আর্থিক সাহায্য কমানো হল বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পাকিস্তানের উপরে আর্থিক সহায়তায় কাটছাঁট করতে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য। গত বছর পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়া হয় যে নিরাপত্তা বাবদ পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য স্থগিত করা হচ্ছে। যার মোট পরিমাণ ১.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র কল রব ম্যানিং সাংবাদিকদের এই তথ্য দিয়েছিলেন। তারও আগে বছরে ১.৩ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
সেই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘একটু ভাবুন, পাকিস্তানে সবাই জানত লাদেন কোথায় রয়েছে। পাকিস্তানকে বছরে ১.৩ কোটি ডলার দিচ্ছিলাম। তাদের সেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।’ অবশ্য ২০০৯ সালে দুটি দেশের মধ্যে কেরি লগার বারম্যান এ্যাক্ট অনুসারে চুক্তি অনুসারে ৫ বছরে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ইসলামাবাদের পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ চুক্তির পর ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতি হতে থাকে। অথচ ২০০১ সালে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রতিশ্রুত ৮.২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার ৬.৬ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ওআইজি প্রতিবেদন অনুসারে দেশটিকে দেয়া মার্কিন সহায়তার ৩০ শতাংশ কোনো কাজে আসেনি আর ৫৫ শতাংশ আংশিক কাজে এসেছে।