শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:২২ দুপুর
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনের ঋণ মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০০ শতাংশ, রয়টার্সের দেনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ

নূর মাজিদ : ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি আর্থিকখাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বৈশ্বিক ঋণের সামগ্রিক চিত্র প্রকাশ করে। সেখানে সরকারি এবং বেসরকারি খাত মিলিয়ে মোট ঋণের চিত্র তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে অনুসারেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের মোট ঋণ ৪০ লাখ কোটি ডলার বলে জানানো হয়। যা দেশটির জিডিপির ৩০০ শতাংশের বেশি। সূত্র : রয়টার্স।

ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ঋণের ঝুঁকি হ্রাসে দেশটির সরকার যখন প্রচলিত অর্থায়নখাতের ঋণ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে তার মধ্যেই এসব ঘটনা ঘটছে। যার পেছনে মূল অবদান রেখেছে দেশটির ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ের অপ্রচলিত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি। ঋণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেয়া বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি স্বত্বেও বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েই চলেছে।

২০১৯ সালের প্রথম প্রান্ত শেষে চীনের বাণিজ্যিক, গৃহস্থালি এবং সরকারি ঋণ মোট দেশজ উৎপাদনের চাইতে ৩০৩ শতাংশ বেড়েছে। যা সারা বিশ্বের মোট দেনার ১৫ শতাংশ। এক বছর আগে প্রথম প্রান্তে দেশটির ঋণ রেশিও ছিলো জিডিপির চেয়ে ২৯৭ শতাংশ বেশি।

বাণিজ্যিক ঋণ বৃদ্ধির আরেক কারণ ছিলো অনশোর বন্ডের মাধ্যমে সরকার এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন। যার মাধ্যমে তারল্য চাহিদা পূরণে দেশটির প্রাদেশিক সরকার এবং ব্যাংকগুলো বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বাজার থেকে সংগ্রহ করে। স্থানীয় সরকারের বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ছিলো ২ লাখ ১৭ হাজার কোটি ইউয়ান বা ৩১ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার। মঙ্গলবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়। অবশ্য, এটা একটি বৈশ্বিক প্রবণতা যা সারা বিশ্বজুড়েই সরকারি ঋণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাড়তে দেখা গেছে।

আইইফ প্রতিবেদন এমন সময় প্রকাশ হলো যখন চীনের দ্বিতীয় প্রান্ত শেষে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। বিগত ২৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রান্তিক প্রবৃদ্ধি ছিলো এটি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতে বৈদেশিক বাজারে চীনা পণ্য রপ্তানি কমে আসার কারণেই উৎপাদন প্রবৃদ্ধি কমেছে।

বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের এসএমই বা ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়গুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সুরক্ষার লক্ষ্যে চীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে বানিজ্যিক ঋণ প্রদানে উৎসাহ দিচ্ছে। ছোট ব্যবসায়গুলোকে বাড়তি সুরক্ষা দেয়ার জন্যেই সরকার এমন নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে, শত শত কোটি ডলার কর কর্তন এবং অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ ব্যয় অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার।

দেনার বিষয়ে চীনা সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এখনো বেশ প্রত্যয়ী। মঙ্গলবার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানায়, ঋণের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার সক্রিয়। এবং পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল, ইকবাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়