নুর নাহার : পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারত ও নেপালের বন্যায় ভোগান্তি ও প্রাণহানির জন্য একে ওপরকে দায়ী করছেন দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা। দুই দেশের কর্মকর্তাদের আলোচনায় ইতিবাচক ফল না আসলেও সম্পর্ক আরো জটিল হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইনডিপেনডেন্ট টিভি ১২:০০
ভারত ও নেপালের মধ্যে অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। ভারতের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত হওয়া প্রায় ৬ হাজার নদ-নদী ও জলধারার উৎপত্তি নেপাল।
শুষ্ক মৌসুমে ভারতের গঙ্গায় প্রায় ৭০ শতাংশ পানি আসে নেপাল থেকে। এসব নদীতে পানি বাড়লেই বন্যা দেখা দেয় নেপাল ও ভারতে।
ভারত পানি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে বাঁধ নির্মাণ করায় কয়েক বছর ধরে নেপালে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নিয়ে ২০১৬ সালে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়।
নেপালের অভিযোগ, ভারতের ১০টি বাঁধের কারণে প্রতিবছর নেপালে কয়েক হাজার হেক্টর জমি প্লাবিত হচ্ছে। তবে ভারতের দাবি, সীমান্তে বাঁধ নয় রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।
বিবিসির অনুসন্ধানও বলছে, ভারতের নির্মিত এসব স্থাপনা পানি আটকানোর বাঁধ ছাড়া আর কিছু নয়।
নেপাল থেকে ভারতের বিহারে পানি প্রবেশ করা কোসি ও গনডাকি নদীতে যে ব্যারাজ আছে তা ১৯৫৪ ও ৫৯ সালের চুক্তি অনুযায়ি তা নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। নেপালের অভিযোগ, বন্যা, সেচ সুবিধা ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মিত বাঁধটি নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করে দিল্লি।
নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে গাউর নামক এলাকা বেশ কিছুদিন ধরে বন্যা কবলিত। বন উজাড়, খনি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিন দিন পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ বাধতে পারে এমন আশঙ্কা নেপালের। তবে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :