শিরোনাম
◈ দ‌লের বা‌জে পারফর‌মেন্স আর শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে বিসিবি হতাশ ◈ আমার বিশ্বাস শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ : তাস‌কিন ◈ মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ফজর আলীসহ আরও ৪জন গ্রেপ্তার (ভিডিও) ◈ কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল খুলনা, প্রেস সচিবকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ◈ বিষাক্ত কীটনাশক বন্ধে প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ◈ টাঙ্গাইল যৌনপল্লীতে অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই ◈ কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হরগবিন্দ বিশ্বাস গ্রেপ্তার ◈ শিগগিরই হতে পারে রোডম্যাপ ঘোষণা, প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ চট্টগ্রামে সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি মেলেনি সবজির বাজারে, বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম ◈ মধুপুরের জঙ্গলে গভীর রাতে ঘোড়ার মাংস প্রক্রিয়াকরণ, একজন আটক

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ০৭:০৫ সকাল
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ০৭:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ফরাসি স্ত্রী আন মারির, ‘আমার স্বামী-ওয়ালী’ এবং সমাজে ‘লালসালু’র প্রভাব

মীর মনোজ হক : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা ‘লালসালু’ উপন্যাসটি অনেকেই পড়েছেন ওয়ালীউল্লাহ একজন আধুনিক, প্রগতিশীল লেখক। মাত্র সামান্য কয়েকটি বই লিখেছিলেন, কিন্তু মারাত্মক সমাজ বিশ্লেষণধর্মী এই লালসালু ১৯৪৮ সালে লিখে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন, তার লেখায় তিনি বাঙালি সমাজের মূলত গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষের সরলতাকে কেন্দ্র করে ধর্মকে ব্যবসার উপাদানরূপে ব্যবহারের একটি নগ্ন চিত্র উপন্যাসটির মূল বিষয়। সম্প্রতি প্রয়াত স্বৈরশাসক এরশাদের মৃত্যুর পরে বেশিরভাগ প্রগতিশীল বাঙালিদের সমালোচনায় একটি সত্যই প্রতীয়মান হয় যে, লালসালুর প্রভাব আজও সমাজকে কীভাবে কলুষিত করে আর সেটা একটুকরো লাল কাপড় নয়, বরং বন্দুকের জোরে পুরো বাঙালি জাতিকে বোকা বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে এক সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, আজ তার জানাজা আর কবরের মাধ্যমেই যেন এই অধ্যায়ের শেষ হয় এই কামনা করি। না এরশাদ সম্পর্কে আজ আর লিখছি না। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস লালসালু, এটি পরে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। তার ফরাসি স্ত্রী আন মারি বইটির অনুবাদে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে নিজেই একটি বই লিখেছিলেন ‘আমার স্বামী-ওয়ালী’ নামে। ওয়ালীউল্লাহ পঞ্চাশের দশকে সিডনি দূতাবাসে প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে যখন চাকরি করতেন তখনই ফরাসি দূতাবাসের প্রেস ও ইনফরমেশন অফিসার আন মারি থিবোউয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়, পরিচয় থেকে ভালোবাসা, তারপর প্রণয়। বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, চাকরির সুবাদে তার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে বাংলাদেশের বাইরে, নানা দেশে। বাঙালি পাঠক তার কথাশিল্পী সম্পর্কে জানে, উচ্চ ধারণা পোষণ করে। কিন্তু ব্যক্তি ওয়ালীউল্লাহ সম্পর্কে খুব কমই জানি। তার স্ত্রী আন মারি ওয়ালীউল্লাহ (বৈবাহিক জীবন ১৯৫৫-১৯৭১) তার সম্পর্কে খুব অন্তরঙ্গ একটি ছবি এঁকেছেন এর বইয়ে। ওয়ালীউল্লাহর ব্যক্তি জীবন, তার রুচি, পাঠপরিধি, তার চিত্রকর হওয়ার আকাক্সক্ষা, সর্বোপরি তার সংবেদনশীর মন সম্পর্কে এক পরিষ্কার ধারণা দেয় এই বই। ওয়ালীউল্লাহ বিশ্বের সব সাহিত্যিককে মানুষের অভিন্ন উত্তরাধিকার বলে গণ্য করতেন। বইটি পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত ওয়ালীউল্লাহ সম্পর্কে তার নিজের এ কথাই সত্য বলে মনে হবে, ‘আমি একজন মুক্ত মানুষ। জগৎ আমাকে গ্রহণ করুক আর নাই করুক, পুরো জগৎটিই আমার।’ সংক্ষিপ্তি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়