আবদুল অদুদ : ঢাকার একজন গৃহিনী তানজুম আরা তার শিশুদের জন্য প্যাকেটজাত তরল দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে পরিচিত এক ব্যক্তির খামার থেকে বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য দুধ সংগ্রহ করছেন তিনি। তার মত আরো অনেকেই বাজার থেকে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শঙ্কিত দুধ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন খাবারের মান নিয়েও।-বিবিসি বাংলা
নাজিয়া পারভীন বলছিলেন, দুধে ক্ষতিকর উপাদান থাকার খবর পাওয়ার পর থেকে মিষ্টি বা পনিরের মত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তিনি। সব মিষ্টি যে খামার থেকে আনা দুধ দিয়েই বানানো হয় তার নিশ্চয়তা কী! অনেক মিষ্টিই হয়তো এরকম প্যাকেটজাত দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই মিষ্টি, দেশীয় পনিরও যে কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। দুধে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের দুধের বিক্রি যে কিছুটা কমেছে তা বাজারে গিয়েও বোঝা যায়।
যদিও এবিষয়ে খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। পাস্তুরিত তরল দুধের বিক্রির হার স্বাভাবিক আছে বলে কেউ কেউ দাবি করলেও অনেকেই স্বীকার করেন যে দু'সপ্তাহ আগের তুলনায় বিক্রি কিছুটা কমেছে। তবে তরল দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে মানুষের আস্থা যে কমেছে, সেবিষয়ে সন্দেহ নেই। তানজুম আরা বলেন, দুধ উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সহজে আর আস্থা ফেরাতে পারবেন না তিনি। হয়তো আদালতের হস্তক্ষেপে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পর দুধের মান ফিরে আসবে। কিন্তু আমি সহজে আর এই ব্র্যান্ডগুলোর ওপর সহজে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো না। প্রয়োজনে হয়তো পরিবারের সদস্যদের দুধ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবো।