সমীরণ রায়: আগামীতে আমাদের দেশে রেল যোগাযোগ খাতে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা নেড়ে হুইসেল বাজিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ও বনলতা এক্সপ্রেসের রুট বাড়ানোর ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আগামীতে আমাদের দেশে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়বে, পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হবো। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রেল যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিএনপি তো এই খাতটিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। ক্ষমতায় আসার পর আমরা আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিলাম, যেন মানুষ রেলের সেবা পেতে পারেন। যোগাযোগ ব্যবস্থাটাকে আরও মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। আমরা আলাদা মন্ত্রণালয় করে আলাদা বাজেট করে রেল যোগাযোগ খাতটিকে মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। এভাবে আমরা একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক করে তুলছি।’
বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-বেনাপোল রুট অনেক লম্বা। ঢাকা, টঙ্গি, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদী, পাবনা, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরে যেতে হয়। ট্রেনে যেতে হয় ৩৭০ কিলোমিটার। আমরা পদ্মাসেতু করছি। পদ্মাসেতুতে রেলসেতুও দিচ্ছি। পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ফরিদপুরের ভাঙ্গাকে ফরিদপুর হয়ে যশোরের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেবো। এতে যাত্রাপথের দূরত্ব কমে যাবে, সময়ও কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহীবাসীর অনেকদিন দাবি ছিল, ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দেয়া। আমরা সেটি করে দিচ্ছি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) আমাদের রেললাইনকে নতুন জীবন দানে সহায়তা করেছে। পুরনো রেলসেতুগুলো নতুন করা দরকার। পাশাপাশি উপযুক্ত লোকবল আমাদের তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে রেলখাতের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :