শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:২০ রাত
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আকস্মিক রিকশা বন্ধ করে দেয়াটা যৌক্তিক কিনা তা উপযুক্ত কর্তারা ভেবে দেখতে পারতেন

মতিন বৈরাগী : আকস্মিক শহরে চলমান রিকশাগুলো আর চলছে না। সড়কে কোথাও কোথাও চালক আর মালিকেরা জড়ো হয়ে অন্যান্য যানবাহনের চলাচলে বিঘœ ঘটাচ্ছে, আটকে পড়ছে মানুষ। অসত্য নয় যে শহরের রাস্তাঘাটে নিত্য যানজট আমাদের জীবন থেকে মূল্যবান সময়কে কেড়ে নিচ্ছে, মানুষকে তিতাতিক্ত করছে তার জন্য অঢেল অবাধ রিকশাও অনেকটা দায়ী। কিন্তু এটা তো মানতে হবে যে, এই রিকশা প্রান্তিক মানুষ ও নি¤œ মধ্যবিত্তের চলাচলের একমাত্র বাহন। আবার অন্যদিকে তারা কোনো উৎপাদনের সঙ্গেও জড়িত নয়। তবুও আকস্মিক রিকশা বন্ধ করে দেয়াটা বিজ্ঞজনচিত কিনা তা উপযুক্ত কর্তারা ভেবে দেখতে পারতেন।

একসময় শহরে কতোটা রিকশা চলবে, কীভাবে চলবে তার একটা নিয়ম-কানুন ছিলো। অনুমতি প্রদান করতো পৌর করপোরেশন। ফলে একটা নিয়ন্ত্রণ ছিলো। পরবর্তিতে এই ব্যবসা চলে আসে দলবাজদের হাতে, তারা অসংখ্য রিকশা বানাচ্ছে এবং এই দল/লীগ ইত্যাদির নামেও শহরে রিকশা চলছে। জানি না এতে বর্তমান করপোরেশন দ্বয়ের অনুমতি আছে কিনা। থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। ফলে অবাধে রিকশার উপস্থিতি রিকশার আধিক্য যে বাড়িয়েছে তাতে সন্দেহ নেই এবং যত্রতত্র চলার অনুমতিও (অনুমতি বাস্তবে আছে কিনা জানা নেই) আরও বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। যান্ত্রিক যানবাহনের পাশাপাশি এসব ভঙ্গুর যানবাহন জনজীবনকেও আশঙ্কায় রাখে। হোক রিকশা, কিন্তু তা চালাচ্ছে তো মানুষ। সে মানুষ রাষ্ট্রের অধীন, রাষ্ট্রের নিয়ম-কানুনে তার অনুরক্ত থাকা যেমন জরুরি তেমনি জরুরি এই নিয়ম-কানুনগুলো যাতে চালকরা নৈতিকভাবে পরিপালন করে, কর্তৃপক্ষের উচিত তার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা এবং রাস্তার দু’পাশ দিয়ে সেফ জোন তৈরি করে তাদের চলাচলের নিয়ম চালু করা। কখনো কখনো ট্রাফিক বিভাগকে এরূপ ব্যবস্থা নিতে দেখি, আবার দেখি তা চালকরা ভেঙে ফেলেছে নৈতিক বোধের অভাবে এবং সহজ করে নিয়েছে তাদের চলাচল। এটা সংশ্লিষ্টদের নজরে নিয়ে কঠিন হওয়াও জরুরি। এখন প্রশ্ন হলো এই সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন। যদিও দলবাজির রাজনীতি বলবে মানুষের পেটে লাথি মারা, কিন্তু কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে বিজ্ঞজনচিতভাবে, আর তার জন্য পাশাপাশি যান্ত্রিক যানবাহনগুলোকে আরও শৃঙ্খলার মধ্যে এনে নিয়মিত করতে হবে রুটগুলোর চলাচল। রিকশার আধিক্য কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন এই সুদীর্ঘকালের যানবাহন চলাচলের রীতিকে। তারপর যখন অটোমেশন হবে যান চলাচল পদ্ধতি তখন ক্ষীণ হয়ে যাবে এসব অযান্ত্রিক তিনচাকা। বাস্তবে জনসাধারণের দুর্ভোগ ক্রমাগত বাড়ছে। প্রভাব পড়ছে কাঁচা বাজারে, নিত্য জীবন-যাপনে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়