ওমর ফারুক : শিশু নির্যাতন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। গতকাল বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "আমাদের দেশে কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিত শিশুকে হত্যাও করা হচ্ছে। দুটো কিন্তু আলাদা বিষয়। ১৯৯৮ সালের দিকে গবেষণার সময়ও যৌন নির্যাতন ব্যাপক হারে দেখেছিলাম। এখনো তাই হচ্ছে।" "এখন অনেক বাবা -মা পুলিশের কাছে যাচ্ছে। সামাজিক প্রতিরোধ হচ্ছে। এর ফলে নির্যাতক অনেক সময় নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিশুটিকেই হত্যা করছে।" সুত্র : বিবিসি।
শুধু যে মেয়ে শিশুরাই এমন নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছে, তা নয়। শিশু অধিকার ফোরাম এর হিসেব অনুযায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ১৪টি ছেলে শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যদিও শিশু অধিকার সংগঠনগুলো মনে করে বাস্তবে এর সংখ্যা আরো অনেক বেশি। তিনি বলেন, "আমাদের দেশে ছেলেরা এতো নির্যাতিত হয় তা ভাবাই যায় না। ছেলেরা যে ছেলেদের দ্বারাই নির্যাতিত হয় তা নয়, নারীদের দ্বারাও সেটি হয়।"
কিন্তু শিশু কিভাবে সাবধান হবে, কিভাবে বুঝবে বিপদ আসছে? বিবিসির করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে আফসান চৌধুরী বলেন, "বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার। এজন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে ছিলাম আমরা বস্তিতে বস্তিতে, সরকারও কিছু ভূমিকা রেখেছিলো। এমন কোন নিরাপত্তা শিশুদের নেই। একটা হিংসাত্মক সমাজ যেখানে যে কেউ যেকোন সময় মারা যেতে পারে। সেখানে শিশুর নিরাপত্তার বিষয়টি নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, কোথয় যেতে হয়, কে আদর করলো, কে শরীর স্পর্শ করলো এবং এর কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ - তা সম্পর্কে শিশুকে কোন কিছু শেখানো হয় না। "অনেকে আত্মীয় স্বজন ও পারিবারিক সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে কিছু বলে না। কিন্তু শিশুদের আদরের নামেও অনেক ক্ষেত্রে যৌনতার প্রকাশ ঘটে। তবে সব ক্ষেত্রেই তা নয়। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার অস্বস্তি হয় এমন কিছু করা উচিত না।"
আপনার মতামত লিখুন :