নুর নাহার : সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তির অপর নাম বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার। পোস্ট- পেইড মিটারের চেয়ে বেশি বিল, মিটারের ভাড়াও বেশি, সেইসাথে রিচার্জ পয়েন্টের সংখ্যা কম থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। ইনডিপেনডেন্ট টিভি -১০.০০
পল্লী বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে বিল বেশি হওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিও হয়েছে। সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, প্রি-পেইড মিটারে পোস্ট- পেইড মিটারের চেয়ে অনেক বেশি বিল আসছে। পাশাপাশি, প্রি-পেইড এসব মিটারের রিচার্জ পয়েন্ট কম হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড কিনতে হয়। রয়েছে বারবার কার্ড কেনার বিড়ম্বনাও।
ভুক্তভোগিরা বলেন, আগে যে বিল আসতো তার চেয়ে এখন ডাবল বিল দিতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায, এমন একটি পরিস্থিতিতে কার্ড শেষ হয়ে গেছে। আনতে গিয়া দেখি ব্যাংক বন্ধ। অনেক সময় তিন চার ঘন্টা লাইনে দাঁড়ায় থাকতে হয়। আসলে এটাতে অসুবিধা আরো বেশি।
প্রি-পেইড মিটার বাতিলের দাবিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা স্মারকলিপি দেয়া, মানববন্ধন থেকে শুরু করে মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিও পালন করেছে। বাসা-বাড়িতে ভুল ওয়্যারিংয়ের কারণেই প্রি-পেইড মিটারে বিল বেশি আসছে বলে দাবি করলেন স্থানীয় প্রকল্প ম্যানেজার। নরসিংদীর প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারীদেরও একই অভিযোগ।
সাভার শ্রীপুর জোনাল অফিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম বলেন, বাসায় প্রি-পেইড মিটারের কারনেই বিল বেশি আসছে। যদি তাদের মিটারগুলো আলাদা আলাদা নেয়া হয় তাহলে আর এমন হবে না। আমরা আসস্ত করছি কোনো বাড়তি টাকা কাটবে না।
নরসিংদী প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারীদেরও একই অভিযোগ।
নরসিংদীর বাসিন্দারা বলেন, আগে মিটার বিল দিতাম ১০ টাকা। এখন দিতে হয় ৪০ টাকা। ডাবলের চেয়ে আরো বেশি ডাবল।
তবে ভাড়া একটু বেশি বলে স্বীকার করলেও প্রি-পেইড মিটারে আর কোন সমস্যা নেই বলেই দাবি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের।
নরসিংদী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. ইউসুফ বলেন, পল্লি বিদ্যুৎ প্রি-পেইড মিটার অনেক ভালো তবে ভাড়াটি একটু বেশি। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই।
২০২১ সালের মধ্যে দুই কোটি গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন