শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে যা জানালেন শিশির মনির ◈ বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ◈ ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, আগুন ◈ জার্মা‌নি‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকা‌পের সেমিফাইনালের পথে ভারত

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০১৯, ০৭:০৫ সকাল
আপডেট : ২৬ জুন, ২০১৯, ০৭:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলেই গেলেন দ্বগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণ

শিমুল মাহমুদ : নরসিংদীতে ফুফাত ভাইয়ের দেওয়া আগুনে দ্বগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণ ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মেনেছেন। বুধবার ভোর ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নরসিংদীর বীরপুরে কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণ কেক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পথে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ফুলনের বাবা যুগেন্ধ বর্মন বলেন, আগুনে ফুলনের শরীরের ২১ শতাংশ পুড়ে যায়। মুখে কেরোসিন ঢালার কারণে ফুলনের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এজন্য গত বৃহস্পতিবার ফুলনের অপারেশন করা হয়। এরপর থেকে ফুলন ভালোই ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে তার বমি হচ্ছিল ও শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার বলেন, সকালে ফুলনের বাবা যুগেন্দ্র বর্মণ ফোন করে আমাদের মৃত্যুর খবর জানায়। আমরা নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নরসিংদীর বীরপুরে কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণ কেক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির আঙ্গিনায় পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত তার হাত-মুখ চেপে ধরে। পরে টেনে-হেঁচড়ে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে তার বাবা যুগেন্দ্র বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত ভার পড়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিবির উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সঞ্জিবসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু স‚ত্রধর নামে একজনকে শহরের শিক্ষা চত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় পুলিশের কাছে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাজু। রাজুর দেওয়া তথ্য মতে ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ ও আনন্দকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়